ঢাকা: বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে ২০১৩ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে শ্রীলঙ্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাকিস্তানও বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেছে।
টুর্নামেন্টের নিয়মটা বেশ জটিল। বিশ্বকাপের শীর্ষ চার দলের প্রথম দুটি নিশ্চিত হয়েছে গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবার আগে ২০১৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। গ্রুপের দ্বিতীয় হওয়ায় শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে প্লে অফ ম্যাচ জিতে সেরা চারে যেতে হলো।
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে সেখানে বিশ্বকাপ বাছাই প্রতিযোগিতা থেকে শীর্ষ দুই দল খেলার সুযোগ পাবে। একটি শর্ত অবশ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে বাদ দিয়ে গণনা করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন শীর্ষ চারের বাকি দুই দল পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে।
শীর্ষ চার দলে থাকা প্রত্যেকেরই ওয়ানডে মর্যাদা আছে। ওই মর্যাদা ধরে রাখলো তারা। ২৪ নভেম্বর দুটি সেমিফাইনাল ও দুটি প্লে অফ ম্যাচ হবে। সেমিফাইলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে শ্রীলঙ্কা। প্লে অফের একটিতে খেলবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্যটিতে খেলবে নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ড। নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে দল। তাদের যে কোন একটিকে এবার মর্যাদা হারাতে হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়া হয়নি। এখান থেকে একটি দল ওয়ানডে মর্যাদা পাবে।
টুর্নামেন্ট শেষ হতে এখনো চারদিন বাকি থাকলেও জাপান এবং জিম্বাবুয়ে দলের খেলা শেষ হয়ে গেছে। নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জাপান ছয় রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। তল্পিতল্পা গুছিয়ে এখন তাদের দেশে ফেরার পালা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১১