ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

খেলা

ইসরায়েলি খেলোয়াড়দের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি মালয়েশিয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
ইসরায়েলি খেলোয়াড়দের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ

আগামী গ্রীষ্মে মালয়েশিয়ায় বসবে বিশ্ব প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ আসর। এই আসরে সারা বিশ্বের অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেও ইসরায়েলের ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাগতিক মালয়েশিয়া। ইসরায়েলি খেলোয়াড়দের ভিসা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার।

আসন্ন সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে ইসরায়েলের একটি সুইমিং দলের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। গত দুই মাস ধরে নিজেদের খেলোয়াড়দের ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য বহু চেষ্টা তদবির করেছে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।

কিন্তু মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি তারা।

চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় এই আসরে ৭০টি দেশের ৬০০ জন সাতারু অংশ নেবেন। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকারের ভূমিকায় এটা নিশ্চিত যে, ওই আসরে কোনো ইসরায়েলি সাতারু অংশ নিতে পারছে না। এই নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে ইসরায়েলের প্যারা অলিম্পিক কমিটি।

এর আগে ২০১৫ সালেও ‘ইয়ুথ সেইলিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’এ ইসরায়েলের খেলোয়াড়দের অংশ নিতে দেয়নি মালয়েশিয়া সরকার।

আসন্ন এই আসরে অংশ নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এখানে ভালো খেলেই টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ২০২০ প্যারা অলিম্পিকে অংশ নিতে হবে।

মালয়েশিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। দেশটির কোনো নাগরিককে ইসরায়েলে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়না। এছাড়া মালয়েশিয়ার ৯৩ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ নিজেও ইসরায়েলকে অপছন্দ করেন। তিনি অনেকবারই ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে এবং ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেছেন।

মুসলিম দেশগুলোতে ইসরায়েলের খেলোয়াড়দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা খুব একটা অস্বাভাবিক দৃশ্য নয়। তবে এবারের বিষয়ে মালয়েশিয়াকে হয়তো আন্তর্জাতিক চাপে পড়তে হতে পারে। ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেক দেশের ক্রীড়া সংস্থা মালয়েশিয়ার এমন আচরণকে বৈষম্য আখ্যা দিয়েছে।

২০১৬ সালেও ইসরায়েলের টেনিস খেলোয়াড়দের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল মালয়েশিয়া। ২০১৫ সালে ইসরায়েলি ‘উইন্ডসার্ফার’দের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশটি। তবে ২০১০ সালটাই ব্যতিক্রম। সেবার ইসরায়েলি বক্সার ইলিয়া গ্রাদকে বিশেষ ভিসায় একটি রিয়েলিটি শো’য়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয় মালয় সরকার।

গত বছর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে আয়োজিত ‘গ্র্যান্ড স্লাম’র একটি ঘটনা বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছিল। সেবার ইসরায়েলি এক জুডোকা (জুডো খেলোয়াড়) প্রতিযোগিতায় জেতার পর তাকে তার জাতীয় দলের জার্সি ও ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত বাজাতে বাধা দেয় স্বাগতিকরা। পরে ওই আসরকে বৈষম্যের দায়ে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন।

ওই ধাক্কা সামলে পরেরবার তথা ২০১৮ সালে ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের নিজ দেশের পতাকাতলে খেলার অনুমতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই আসরে ইসরায়েলি জুডোকা সাগি মাকি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জেতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।