ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলায় 'না', প্রশংসিত লেবানিজ বালক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৯
ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলায় 'না', প্রশংসিত লেবানিজ বালক মার্ক আবু দীব-ছবি: সংগৃহীত

স্পেনে আয়োজিত এক দাবা প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে রীতিমত প্রশংসায় ভাসছে এক লেবানিজ বালক। মাত্র ৮ বছর বয়সী এই বালককে নিজ দেশে নায়কের মতোই সম্মানিত করা হচ্ছে।

মার্ক আবু দীব নামের ওই খ্রিস্টান বালকের প্রশংসা করেছেন ইরানের মদদপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র উগ্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র কমান্ডার হাসান নাসরুল্লাহ। ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরায়েল’ এমনটাই জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে লেবাননের ওটিভি চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণ হিসেবে ইসরায়েলকে ‘শত্রু’ আখ্যা দেয় ওই বালক। মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ওই সাক্ষাৎকারের ফুটেজ অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা রোসান্না রাম্মাল ওই বালককে প্রশ্ন করেন, ‘অনেক লেবানিজ তোমাকে নায়ক হিসেবে বিবেচনা করে, তাই না?’ এরপর কেন ইসরায়েলি খেলোয়াড়ের বিপক্ষে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সে তাও জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।  

জবাবে মার্ক আবু দীব বলে, 'কারণ, ইসরায়েল হচ্ছে শত্রু। ' এরপর উপস্থাপিকার অনুরোধে আরও বেশ কয়েকবার তাকে ওই বাক্য উচ্চস্বরে বলতে শোনা যায়।  

আবু দীব গত নভেম্বরে স্পেনের গালিসিয়ার সান্তিয়াগো দে কম্পোসতেলায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ক্যাডেট চেজ চ্যাম্পিয়নশিপ’র অনূর্ধ্ব-৮ ক্যাটাগরিতে অংশ নেয়। একই ক্যাটাগরিতে গাই সিভান ও তোমের স্টের্নফেল্ড নামের দুই ইসরায়েলি বালকও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। টুর্নামেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ওই দুই ইসরায়েলি বালকের সঙ্গে ১২ রাউন্ডের খেলায় একবারও মোকাবেলা করেনি আবু দিব।

এর আগে ১০ নভেম্বর এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেন হিজবুল্লাহ’র নেতা নাসরুল্লাহ। বিবৃতিতে আবু দীবের ওই অবস্থানের প্রশংসা করেন তিনি। এই প্রসঙ্গ আবু দীবের সামনে তুললে জবাবে সে বলে, 'তিনি (নাসরুল্লাহ) একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা। তিনি ইসরায়েলের কাছ থেকে লেবাননকে রক্ষা করেছেন। '

ইসরায়েল অনেক আগে থেকে হিজবুল্লাহ’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০০৬ সালে প্রথম সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ৩৪ দিন স্থায়ী সেই যুদ্ধে প্রায় এক হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়। পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় তারা। তবে সেই ঘটনার পরও প্রায়ই দুই পক্ষ যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি সিরিয়ায় তারা ছায়া যুদ্ধেও অবতীর্ণ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।