ঢাকা: বড় দৈঘ্যের্র ক্রিকেটেও ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে খুলনা বিভাগের ব্যাটিংই তার প্রমাণ।
আনামুল হক বিজয় ১০৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ১১৩ বলে ১৮টি চার ও একটি ছয়ের মার দিয়ে। এছাড়া সৌম্য সরকার ৫২ এবং আব্দুর রাজ্জাক ৩৮ রান করেছেন। রাজশাহীর মুক্তার আলী এবং সানজামুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের খেলা শেষ করতে গিয়ে ২১ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে রাজশাহী। এখনো ২৫৭ রানে পিছিয়ে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর প্রথম ইনিংস ধ্বসিয়ে দিয়েছেন এনামুল হক জুনিয়র। ১৭ ওভার বল করে ৮টি মেডেনসহ ৩৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মেট্রোর ইনিংস গুটিয়ে যায় ১১৮ রানে। জবাব দিতে নেমে তিন উইকেটে ১৪৪ রান করে ফেলেছে স্বাগতিক সিলেট। নাদিফ চৌধুরী ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম দিনেই ২৬ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে নাঈম ইসলামের হার না মানা ৬০ এবং ধীমান ঘোষের অপরাজিত ৩৪ রানে প্রথম দিন শেষে রংপুর বিভাগের সংগ্রহ ১৬৬ রান। ৮৬ ওভার ব্যাট করেছে নবাগত দলটি। দলের মূল ব্যাটসম্যান নাঈম ১৯৯ বল খেলে নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন। ধীমান ঘোষও খেলেছেন ১১০ বল।
এদিকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিদেশি ক্রিকেটার খেলিয়েও ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিক চট্টগ্রাম বিভাগ। নাজিম উদ্দিনের ৪০ এবং আশরাফুল আজিজের ৩০ রানের ওপর ভর করে ১৭৬ করে চট্টগ্রাম। ঢাকার স্পিনার মোশারফ হোসেন রুবেল চারটি এবং পেস বোলার সাহাদাত দুই উইকেট নিয়েছেন। জবাবে দিন শেষে তিন উইকেটে ১১০ রান করে ফেলেছে ঢাকা বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১১