ঢাকা: পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের একটা সুখস্মৃতি আছে। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ দল।
এই চার বছরে পাকিস্তান দল পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। বিশ্বকাপ খেলেছে। দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলে বিশ্বকাপ বাছাই প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ দল বাছাই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে তিন মাস। তারপরেও উন্নতির গ্রাফটা একেবারে মন্দ নয়। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সের প্রশংসা না করে পারেননি পাকিস্তান দলের অধিনায়ক সানা মির,“বাংলাদেশ দল অনেক উন্নতি করেছে। তারা সিঙ্গেল রান তুলে এগোচ্ছিলো। ৪০ ওভার পর্যন্ত খেলেছে। ”
তারপরেও দলের পরাজয়ের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে বাংলাদেশের ভারতীয় কোচ মমতা মাবেন বললেন,“আমাদের টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দিলেও মিডল অর্ডারে খেলাটা ধরে রাখতে পারেনি। যার ফলে ১০ ওভার বাকি থাকতেই ইনিংস শেষ। আমার মনে হয় ইনিংস গড়ে তুলতে পারলে ১৯৮ রান চেজ করা অসম্ভব হতো না। ”
ক্যাচ ফেলে দেওয়া এবং অতিরিক্ত রান বেশি দেওয়ায় প্রতিপক্ষের স্কোর ১৯৭ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে বলে মনে করেন মমতা। ১৭০ থেকে ১৭৫ রানের মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে দেওয়া সম্ভব ছিলো বলে বিশ্বাস করেন কোচ। এরপর ব্যাটিংয়ে সালমা খাতুন, ফারজানা হক পিঙ্কি এবং শুকতারা রান পেলে ম্যাচের চিত্র বদলে যেতো বলে জানালেন তিনি।
তবে দলের পারফরমেন্সে হতাশ নন কোচ। তিনি জানালেন,“ছয় মাস আগেও এই দলটি গোছানো খেলা খেলতে পারেনি। এখন খেলায় একটা ছন্দ এসেছে। এখনো প্রত্যেকে শিখছে। আমি নিশ্চিত শিগগিরই তারা একটা ভালো পর্যায়ে যাবে। ”
প্রতিযোগিতার শীর্ষ ছয় দলের মধ্যে থাকতে হলে পরের দুটি ম্যাচে জাপান ও আয়ারল্যান্ডকে হারাতেই হবে বলে জানান মাবেন। বিশেষ করে মঙ্গলবার বিকেএসপিতে জাপানের বিপক্ষ ম্যাচকে বাঁচা-মরার লড়াই বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
এদিকে উদ্বোধনী ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পাওয়ায় খুশি পাকিস্তান অধিনায়ক। তিনি বলেন,“বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় আশা করেছিলাম। দলীয় সমন্বীত প্রচেষ্টায় সফল হতে পেরে আমি খুশি। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১১