ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ক্রিকেট

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন দিনে হারিয়ে ভারতের সিরিজ জয় 

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন দিনে হারিয়ে ভারতের সিরিজ জয়  ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে মাঠ ছাড়ছেন কোহলিরা-ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যখন মাত্র ১২৭ রানে গুড়িয়ে দিলেন উমেশ যাদব-জাদেজারা, খেলার ফল তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। হয়েছেও তাই। ক্যারিবীয়দের দেওয়া মাত্র ৭২ রানের টার্গেট বিনা উইকেটেই পাড়ি দিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো ভারত। এই নিয়ে ঘরের মাটিতে টানা দশম সিরিজ জিতলো কোহলিবাহিনী।

হায়দ্রাবাদ টেস্টের তৃতীয় দিনে (১৪ অক্টোবর) ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করা ভারত আজিঙ্কা রাহানে আর রিসাভ পান্তের ব্যাটে চড়ে বড় লিডের আশা করেছিল। দুজনে টেনেও নিয়েছিলেন অনেকটা।

দুজনের সামনেই সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন রাহানে।

মূলত রাহানের বিদায়ের পরই উইকেট হারানোর লাইন লেগে যায় ভারতের। রাহানের বিদায়ের পর কোনো রান না যোগ হতেই হোল্ডারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন আগের ম্যাচেই অভিষেক সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র জাদেজা।  

কিছুক্ষণ পর গ্যাব্রিয়েলের বলে হেরমায়েরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৯২ রান করা রিসাভ পান্ত। তাদের বিদায়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে ভারতের লোয়ার অর্ডার। তবে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ভারতের স্কোর ২৬৭ তে নিয়ে যান স্পিনার অশ্বিন। ভারত ৫৬ রানের লিড পায়।

ক্যারিবীয় অধিনায়ক হোল্ডার একাই পাঁচ নিয়েছেন। ৩ উইকেট পেয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।  

ম্যাচে একটা রেকর্ডও গড়েছেন হোল্ডার। ২৩ ওভারে ৫৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ১৯৯৪ সালে কেনি বেঞ্জামিনের গড়া ভারতের মাটিতে ক্যারিবিয়ান বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ৫ উইকেট কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন তিনি।  

চলতি বছর যেকোন বোলারের চেয়ে বেশিবার পাঁচ উইকেট পাওয়ার কীর্তিও গড়েছেন হোল্ডার। তাছাড়া বোলিং গড়ের দিক থেকে ১০০ বছরের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এবছর তার বোলিং গড় ১১.৮৭, যা গত ১০০ বছরে এক পঞ্জিকাবর্ষে কমপক্ষে ৩০ উইকেট নেওয়া কোনো বোলারের সেরা। এই গড় নিয়ে তিনি ছয় টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। এছাড়া মাত্র পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে ভারতের মাটিতে পাঁচ নেওয়ার কৃতিত্বও গড়েছেন তিনি।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে অচেনা মনে হচ্ছিলো প্রথম ইনিংসে ৩১১ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ক্যারিবীয় ওপেনার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের উইকেট শিকার করে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া উমেশ যাদব। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্রোতের বিপরীতে সুনীল অম্বরিশ (৩৮) ও শাই হোপ (২৮) যা একটু লড়ে দলের রান ১০০ পার করলেন।  

উমেশ যাদবের সঙ্গে বল হাতে একইসঙ্গে জ্বলে উঠলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও অশ্বিন। উমেশ ৪টি, জাদেজা ৩টি এবং অশ্বিন ২টি উইকেট নিয়ে মাত্র ১২৭ রানেই গুড়িয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। মাত্র ৭২ রানের টার্গেট পায় ভারত।  

মাত্র ৭২ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও কেএল রাহুলের ব্যাটে চড়ে মাত্র ১৬.১ বলে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। দুজনেই ঠিক ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই নিয়ে নিজেদের মাটিতে টানা দশম সিরিজ জিতলো ভারত।

উমেশ দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। আর দুই ম্যাচেই অনবদ্য ব্যাটিং করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানো ভারতীয় তরুণ ওপেনার পৃথ্বী শ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।