ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

তবু জুনিয়রদের আগলেই রাখছেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
তবু জুনিয়রদের আগলেই রাখছেন সাকিব সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ম্যাচে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন মুশফিক। তার ক্যারিয়ার সেরা সেঞ্চুরি আর তামিমের ‘এক হাতে ব্যাটিং’য়ের কল্যাণে জয় পেয়েছিল উজ্জীবিত টাইগাররা। পরের দুই ম্যাচেই সেই উজ্জীবিত মনোভাব উধাও। টপ অর্ডারে তামিম না থাকায় অতি বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীর কারণে বিশাল দুই পরাজয়ের পর প্রশ্ন উঠে গেছে দলের তরুণদের সামর্থ্য নিয়েই। তবে এখনই তরুণদের ওপর আশা না হারাতে বলছেন সাকিব। তিনি অনুজদের আরও সময় দিতে বলছেন।

দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক পারফর্মার বলতে সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটার- মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, মুশফিক ও তামিম। বাকিদের আশা-যাওয়ার মাঝে এই ক’জনই টেনে নিচ্ছেন বিশাল প্রত্যাশার ভার।

দলে পরিবর্তন তো কম আনা হয়নি। সৌম্য সরকারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছেন না লিটন দাস।

সাব্বির-নাসির অক্রিটেকীয় ঝামেলায় জড়িয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করেছেন। মোসাদ্দেক হোসেন সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না। বোলিংয়ে তবু মোস্তাফিজ-রুবেল-মিরাজ এখনও ফুরিয়ে যাননি। তাসকিন হারিয়ে খুঁজছেন নিজেকে। আবু হায়দার-আবু জায়েদরা এখনও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে তামিম কিংবা সাকিব কিংবা মুশফিক, যেকোনো একজনের ইনজুরি মানেই দলের শক্তিক্ষয়।

চলতি এশিয়া কাপেও তরুণদের ব্যর্থতার গল্প দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তবে এখনই তরুণদের ওপর দায় চাপাতে রাজি নন সাকিব আল হাসান। নিজেদের অবস্থার কথা মনে করিয়ে তাই আশার প্রদীপই জ্বালালেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।  

‘আমরা যদি ওদের ওপর অল্প সময়েই এত বেশি চাপ দিয়ে ফেলি, ওদের ভালো করার সম্ভাবনা তাহলে কমে যায়। যে চার-পাঁচজনের কথা বলছেন (পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার), আমরা কিন্তু কেউ বীর-পালোয়ান ছিলাম না! শেষ ৩-৪ বছরের ক্যারিয়ার দেখছেন আপনারা। এর আগের ৬-৭ বছর ক্রিকেট খেলছি, আমরাই বা কতখানি ভালো ক্রিকেট খেলেছি!’

‘পরিস্থিতিতে পড়তে পড়তে মানুষ যখন কেউ শিখবে, তখন তার ভালো করা সম্ভব। আমরা ওদেরকে ওই সুযোগ হয়তো দিতে পারছি না সেভাবে। ওদের জন্য কঠিন, এমন পরিস্থিতিতে পারফরম্যান্স করা। ’

সাকিব-তামিমদেরও এই সময়টা পার হয়েছে। তবে তখন খুব দ্রুতই দলের মূল খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিলেন তারা। দলকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল তাদের ঘিরে। সেই তুলনায় এখনকার তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বেশি। কারণ তাদের আগলে রেখে নিজেদের কাঁধে চাপ নিচ্ছেন সিনিয়ররা। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।  

এমন যুক্তি মেনে নিয়ে সাকিব বলেন, ‘হয়তো ওরা আরও একটু বেশি করতে পারলে ভালো হতো। যখন ওরা ভালো করেছে, তখন আমাদের দলটা ভালো করেছে। খেয়াল করে যদি দেখেন, ভারত, পাকিস্তান কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যখন সিরিজ জিতেছি, তখন ওদের  অবদান ভালো ছিল। এ কারণে আমাদের পারফরম্যান্সের লেভেলটা ওপরে ছিল। ’ 

‘ধারাবাহিকতা যদি আমরা ধরে রাখতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি ভালো হতো। সেটা হয়নি। সেটা থেকে এখন ওভারকাম করতে হবে। সে জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। ’

এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের ‘বাঁচা-মরার ম্যাচে’ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের দলে টপ অর্ডারে দেখা যেতে পারে তড়িঘড়ি করে দুবাই ডেকে নেওয়া সৌম্য সরকার কিংবা ইমরুল কায়েসকে। তাদের যুক্ত হওয়া দলের জন্য কতোটা কাজে দেবে তা দেখার জন্য মাত্র একদিনের অপেক্ষা।

তবে হুট করে তাদের দলে নেওয়া নিয়েও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সাকিব কথা বললেন এই প্রসঙ্গেও। এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন তিনি। তাই রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘একটু অস্বাভাবিক। এমন সাধারণত হয় না। তবে দলের প্রয়োজনে বা যেকোনো পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতেই পারে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।