ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ভারতকে কাঁপিয়ে শেষ পর্যন্ত হংকংয়ের হার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
ভারতকে কাঁপিয়ে শেষ পর্যন্ত হংকংয়ের হার একেবারে খাদের কিনারা থেকে বেঁচে শেষ পর্যন্ত ২৬ রানের কোনো রকম জয় পায় রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত-ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পুঁচকে হংকংয়ের কাছে প্রায় পা ফসকেই গিয়েছিল ভারতের। একেবারে খাদের কিনারা থেকে বেঁচে শেষ পর্যন্ত ২৬ রানের কোনো রকম জয় পায় রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।

১৪তম আসরের চতুর্থ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা ভারত শিখর ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দুই ওপেনার নিজাকাত খান ও আনশুমান রাথের ১৭৪ রানের অন্যবদ্য জুটি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি হংকং।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শিবিরে কাঁপন ধরিয়ে দেন নিজাকাত ও রাথ। দলীয় ৩৪ ওভারে ১৭৪ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা। তবে ভারতীয় অভিষিক্ত পেসার খলিল আহমেদ এই জুটির ভাঙন ধরানোর পরই আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় হংকং। নিজাকাত ব্যক্তিগত ৯২ রানে খলিলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন।

দলীয় এক রান পরেই ৭৩ রান করা অধিনায়ক রাথকে রোহিত শর্মার ক্যাচে পরিণত করে প্যাভিলিয়নে পাঠান স্পিনার কুলদিপ যাদব। পরে খলিল, যাদব ও যুজভেন্দ্র চাহালের বোলিংয়ের সামনে আর পেরে ওঠেনি হংকং।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে খলিল ও চাহাল ৩টি করে উইকেট নেন। যাদব পান বাকি দুটি উইকেট।

টসে হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধাওয়ানের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরির পরও দলীয় ৩শ’ রান ছুঁতে পারেনি ভারত। ১২০ বলে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২৭ করেন ধাওয়ান। এছাড়া ৬০ রান আসে আম্বাতি রায়দুর ব্যাট থেকে। ৩৩ রান করেন দিনেশ কার্তিক।

হংকং বোলারদের মধ্যে কিঞ্চিত শাহা সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এহসান খান ২টি উইকেট তুলে নেন।

আসরে টানা দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল হংকং। ‘এ’ গ্রুপ থেকে প্রথম ম্যাচে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছিল।

এদিকে একদিন পরেই ফের মাঠে নামতে হচ্ছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। তাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। যেখানে অবশ্য দু’দলই সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।