ঢাকা: এক ওভার তিন বল বাকি, দুইজনই সেট ব্যাটসম্যান। ওই অবস্থায় নাসির হোসেন যে তিন রানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবেন কেউ বুঝতে পারেনি।
ভুল স্বীকার করে পার্টনারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন নাসির। “আসলে ওই সময় কল করাটা ঠিক হয়নি। আমাদের উচিৎ ছিলো খেলা শেষ করে আসা। ” এরপর মাথা দুলাতে দুলাতে বোঝাতে চেষ্টা করলেন, যা হয়েছে তার জন্য তিনি অনুতপ্ত।
অপ্রত্যাশিত আউটের অংশটাকে মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু পারলেন কোথায়। তার কথাতেই আক্ষেপ ছিলো,“ইচ্ছে ছিলো আগে ৫০ করবো। পরে যতদূর নিয়ে যাওয়া যায়। অপরাজিত থাকতে চেয়েছিলাম। ভাগ্য খারাপ, ৪৫ রানে আউট হয়ে ফিরতে হলো। ”
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও, নাঈমের আউটকে দুর্ভাগ্যজনক মনে করছেন। “ভাবতেও পারিনি নাঈম ভাই আউট হয়ে যাবেন। ”
২০৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল এখন ব্যাকফুটে। দলের সংগ্রহ শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে আগে থেকে বলা মুশকিুল। ব্যাটসম্যান বলতে একজনই, নাসির হোসেন। পাহাড় সমান চাপ নিয়ে তৃতীয় দিন সকালটা তাকেই সামলাতে হবে। সামান্য ভুল হলেই শেষ। যদিও সাকিব আল হাসান মনে করেন এখনো ১০০ রান যোগ করা সম্ভব। তার মতে,“তৃতীয় দিন সকালে যদি আমাদের ব্যাটিং ভালো হয় এবং পরে বোলিং ভালো করতে পারি, তাহলে ম্যাচ হাতে থাকবে। চতুর্থ ইনিংসে ৩৫০ রানের লক্ষ্য পেলেও আমার মনে হয় আমরা খেলা বের করে আনতে পারবো। আমাদের যা সামর্থ্য তাতে সম্ভব। ”
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৫৫ রানে অল-আউট করে দেওয়ার পেছনে একটা বড় ভূমিকা সাকিবকে। ৩৪.৪ ওভারের মধ্যে ১২ ওভার মেডেনসহ ৬৩ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে ৭৪ বলে ৭৩ রানের জ্বলজ্বলে একটি ইনিংসও খেলেছেন। যদিও ইনিংসটাকে শতকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ধুম করে আউট হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ হচ্ছে সাকিবের,“পাঁচ উইকেট পেয়ে ভালো লাগছে। ইনিংসটাকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পারলে আরো ভালো লাগতো। ওরা খুবই বাজে বল করেছে। এমন তো নয় ভালো বল খেলতে গিয়ে আট হয়েছি। আউট হওয়ার পর একটু খারাপ তো লাগেই। ”
সাকিব ইনিংসটাকে শতকে নিয়ে যেতে না পারায় দলের ভেতরে আফসোস আছে। অধিনায়ক মুশফিকুর যেমন বললেন,“আমরা কথা বলছিলাম যে, পাঁচ উইকেটের পর শতক খুব কম সময়ই হয়। ওটা সে নিজেও জানে। সেঞ্চুরি করতে পারলে একটা ভালো অর্জন হতে পারতো। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১১