ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

অথচ খেলাটি টেস্ট!

সাইফ হাসনাত, ব্লগার ও পাঠক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১১
অথচ খেলাটি টেস্ট!

শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে ৩৫৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।   সাকিব আল হাসান একাই ঝুলিতে ভরেছেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট।

এই নিয়ে সাকিব ২৩ টেস্টের ৩৮ ইনিংসে সপ্তম বারের মতো লাভ করলেন ৫ উইকেট। যার মাধ্যমে সাকিবের উইকেট সংখ্যা ৮৩ গিয়ে দাঁড়ালো। এবং একই সাথে সাকিব ছুঁয়ে ফেললেন সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেয়ার বাংলাদেশি রেকর্ড। যেটি এতোদিন শুধু মোহাম্মদ রফিকের ছিলো।

সাকিবের এই কীর্তি গড়ার ইনিংসের পরই ৩৫৫ রান সামনে রেখে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মিরপুরের ব্যাটিং উইকেটে খুব ভালো একটা শুরুর প্রত্যয়ে মাঠে নেমে নয় ওভার হতে না হতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।

টেস্ট ম্যাচে অতিরিক্ত আক্রমনাত্মক মেজাজের খেসারত দিয়ে সবার আগে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন হার্ড হিটিং ওপেনার তামিম ইকবাল। দশ বলে তিন চারে তিনি করে গেছেন ১৪ রান। তামিমের দেখানো পথেই হেঁটেছেন শাহরিয়ার নাফিস। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। আট বল খেলে একটি চারের সাথে রান করতে পেরেছিলেন মোটে সাত। তারপর কোনো রান না করেই এ্যাডওয়ার্ডসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন রকিবুল। পরেই বলেই আউট অধিনায়ক! হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও তা করতে পারেন নি এ্যাডওয়ার্ডস। ততক্ষণে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ভেঙে চুরমার!

আউট হওয়া প্রথম দুই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট যথাক্রমে ১৪০.০০ ও ৮৭.৫০! যা টেস্ট ক্রিকেটের সাথে একেবারেই যায়না। ওপেনার বা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য যা আরো বেশি করে অবাক হওয়ার ব্যাপার। তামিম ও নাফিস যেনো ভুলেই গিয়েছিলেন- খেলাটি টি-টোয়েন্টি নয়; টেস্ট।

রকিবুল বহু বিতর্ক নিয়ে একাদশে ছিলেন। সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলকে বাদ দিয়ে তাকে দলভুক্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু রকিবুল কোনো প্রত্যাশাই পূরণ করতে পারলেন না। যদিও ড্র হওয়া প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩২ বলে ৪৪ রানের সম্ভাবনাময় একটি ইনিংস ছিলো। রকিবুল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের “কমান্ডার ইন চিফ” মুশফিকও আউট প্রথম বলেই!

এই পর্যায়ে এসে স্কোর- ৫৯ রানে ৫ উইকেট বাংলাদেশ! ওভার হয়েছে মাত্র ৯.২! পাঁচ উইকেটের সবগুলোই নিলেন এ্যাডওয়ার্ডস!

সর্বশেষ আউট হলেন ইমরুল কায়েস। অথচ প্রত্যাশা পূরণের চাপটাকে তিনি আউট করতেই পারলেন না! যদিও পাঁচটা চারের সাথে একটি ছয়ের মারে বেশ ভালো করার ইংগিত ছিলো। মাত্র ২৬ বলে ২৯ রানের একটি সম্ভাবনাময় ইনিংসটি শেষ হয়ে গেলো এ্যাডওয়ার্ডসের বলে ব্র্যাথওয়াইটের ক্যাচে। আউট হওয়ার সময় ইমরুলের স্ট্রাইক রেট ১১১.৫৩!

এই পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস দেখে একটি কথাই কেবল মনে আসছে- অথচ খেলাটির নাম টেস্ট!

বাংলাদেশ সময় ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।