ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাকিবের দিনেও পিছিয়ে স্বাগতিকরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১১
সাকিবের দিনেও পিছিয়ে স্বাগতিকরা

ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ৫১ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২০৪।

   এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৫৫ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।

ক্রিজে আছেন  নাসির হোসেন ও সোহরাওয়ার্দী শুভ।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২০৪/৭ (৫১ ওভার)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৩৫৫

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে ‘ফিদেল ঝড়ে’ তছনছ হয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। দলীয় ৫৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। প্রত্যেকেই উড়ে যান পেসার ফিদেল এডওয়ার্ডসের গতির সামনে।

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে দিয়ে উইকেট শিকারের অভিযান শুরু করেন ফিদেল। তার বল মারতে গিয়ে ড্যারেন ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ক্রিকেটার (১৪)। চট্টগ্রাম টেস্টে অর্ধশতক করেছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। ঢাকাতেও বড় ইনিংস খেলার জন্যই মুখিয়ে ছিলেন। তিনিও অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ফিদেলের কাছে। ক্যাচ আউট হন ব্যক্তিগত ৭ রানে।

দলে যাওয়া-আসার মধ্যেই আছেন রকিবুল হোসান। অনেকদিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরেছেন এই ক্রিকেটার। চট্টগ্রাম টেস্টে রান পেলেও জ্বলে উঠতে পারেননি দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে। আসলে ফিদেলের দিনে তিনিও আত্মহুতি দিয়েছেন নিজেকে! রানের খাতা খেলার আগেই এলবিডব্লু  হন রকিবুল।

দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম! যখনই বিপদে পড়ে দল তখনই হাসে তার ব্যাট। কিন্তু ঢাকায় খোঁজে পাওয়া গেলো না তাকে। ব্যাট হাতে মাঠে নামার পর কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন ফিদেল। ব্যক্তিগত শূন্যরানে চন্দরপলের হাতে ধরাপড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

অবশ্য এক প্রান্ত আগলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। যিনি টি-টোয়েন্টি, একদিনের সিরিজ ও প্রথম টেস্টে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। বেশদূর যেতে পারেননি। তার প্রতিরোধও গুঁড়িয়ে দেন ফিদেল। সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ রান করেছেন ইমরুল।

ষষ্ঠ উইকেটে নাইম ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলকে ফলোঅনের লজ্জায় পড়তে দেননি সাকিব আল হাসান। ৭৪ বলে ৭৩ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়ে বিশুর বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন সাকিব। তবে নতুন ব্যাটসম্যান নাসির হোসেনকে নিয়ে ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস এগিয়ে নেন নাঈম ইসলাম। সপ্তম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে রান আউটের ফাঁদে পড়েন নাঈম (৪৫)। দিনের খেলার তখন মাত্র ছয়টি বল বাকি ছিলো। আফসোসে পুড়ছে স্বাগতিকরা।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মূলত সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল হয়েছে তারা। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার একাই শিকার করেছেন পাঁচ উইকেট। আগেরদিন এক উইকেট নিলেও দ্বিতীয় দিন পেয়েছেন আরও চারটি।

শতক (১২১) হাঁকানো কির্ক এডওয়ার্ডসকে এলবিডব্লু’র ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরান কার্ল্টন বাগ, অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ও ফিদেল এডওয়ার্ডসকে। এজন্য ওয়ানডে ক্রিকেটের একনম্বর অলরাউন্ডারের খরচ করেন ৬৩।

আলো ছড়িয়েছেন আরেক অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। চট্টগ্রাম টেস্টে নিজের অভিষেক ম্যাচে উইকেট না পেলেও ঢাকায় পেয়েছেন তিনটি। এছাড়া অভিষিক্ত সোহারাওয়ার্দী শুভ নিয়েছেন এক উইকেট।

সফরকারীদের বিপক্ষে পেসের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন স্পিনাররাই। প্রথম ইনিংসে সাকিব, নাসির ও শুভরা যেভাবে শিকার করেছেন প্রতিপক্ষের উইকেট। যেখানে বেশ মলিন পেস আক্রমণ। একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন পেসার রুবেল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad