ঢাকা: চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের সঙ্গে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের মিল খুঁজলে, অনেক জিনিসই মিলে যাবে। দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ করেছিলো চার উইকেটে ২৫৫ রান।
একটি জায়গায় অমিলও আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে প্রাণ ছিলো না। খেলা এতটাই শম্বুক গতিতে এগিয়েছে যে, দর্শকদের ঘুমিয়ে পড়ার অবস্থা। মাঝে মাঝে পিনপতন নিরবতা পর্যন্ত নেমে এসেছে। এই দায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের একার নয়। ম্যাচ জমিয়ে তোলার জন্য বোলারদেরও কিছুটা দায়িত্ব থাকে। প্রথম দুই সেশনে স্বাগতিক বোলাররা সে জায়গায় অনুপস্থিত।
প্রথম দুই ঘন্টায় আয়েশ করে খেলেছেন ক্রেগ ব্রাফেট ও কিয়েরন পাওয়েল। মধ্যাহ্নভোজের আগে ২৯ ওভার খেলে ৮৮ রান তুলে ফেলেন। এ অধ্যায়ে একেবারে ব্যর্থ বাংলাদেশের বোলিং। যদিও পরের সেশনে রুবেল হোসেন এবং সোহরাওয়ার্দী শুভ দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ফেরালে একপশলা স্বস্তির বাতাস বয়ে যায় বাংলাদেশ শিবিরে। কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান হওয়ার পর উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে। ৫০ রান হওয়ার পর রুবেলের একটি বল খেলতে গিয়ে ব্রাফেট গালিতে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। আর পাওয়েল ব্যক্তিগত ৭২ রানে সোহরাওয়ার্দীর বলে বোল্ড হয়েছেন।
শেষ সেশনে তিন উইকেটের পতন না হলে স্বাগতিকদের খেলায় ফেরা কঠিন ছিলো। এ পর্বে তিনটি উইকেট পড়েছে। নাসির হোসেন পেয়েছেন দুটি। একটি সাকিব আল হাসানের। শিবনারায়ন চন্দরপলের মহামূল্যবান উইকেটের শিকারি নাসির।
দিন শেষে তাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও নির্দ্বিধায় বলতে পারছেন খেলার ৬০ ভাগ তাদের দখলে। ৪০ ভাগ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তাদের বড় দায়িত্ব হয়ে গেছে ৭১ রানে অপরাজিত থাকা কির্ক এডওয়ার্ডকে দ্বিতীয় দিন সকাল সকাল বিদায় করে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১১