ঢাকা: বাংলাদেশ অপরিবর্তিত দল নিয়ে খেলবে জাতীয় দল নির্বাচকরাই আগে নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। তবুও সন্ধ্যা পর্যন্ত দলীয় সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
তারমানে তামিম ইকবাল, ইমরুর কায়েস, শাহরিয়ার নাফিস, রকিবুল হাসান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানি, রুবেল হোসেন ও সাহাদাত হোসেন খেলছেন দ্বিতীয় টেস্টে।
সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরু হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যে মাঠে খেলা তার পিচ থেকে সামান্য সুবিধাও পায় না বাংলাদেশ দল। শেষ টেস্টেও উইকেট থেকে বেশি কিছু আশা করতে পারছেন না অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম,“এই মাঠে উইকেট থেকে আমরা যেমন সাহায্য চাই, সেটি নাও পেতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, যার যা দায়িত্ব সেটি পালন করা। বাড়তি সাহায্য না পেলেও ব্যাটিং-বোলিংয়ে যদি ভালো পারফর্ম করতে পারি, তাহলে এই টেস্টে ভালো ফল পেতে পারি। ”
জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা খুব একটা নেই। “আমরা জয়ের জন্য সবসময় চেষ্টা করি। কিন্তু জিতবোই এমনটা ভেবে কখনো মাঠে নামা যায় না। একটাই পরিকল্পনা থাকে, পাঁচ দিন যেন ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। সেটি পারলে ফল আমাদের পক্ষে আসবে। চট্টগ্রাম টেস্টে যেমন খেলেছি, এর ধারাবাহিকতা থাকলে ঢাকায় যে কোন ফলই হতে পারে। ”
মুশফিকুরের মতে,“বাইরে গেলেও আমাদের যে উইকেটই দেন, সেখানেই খেলতে হবে। আমরা আমাদের সেরা প্রস্তুতির দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। সেটি করতে পারলেই আমরা খুশি। নিজেদের কাজের দিকেই আমরা জোর দিচ্ছি। আগে ব্যাটিং করলে বড় স্কোর করা, আগে বোলিং করলে তাদের মোটামুটি স্কোরে অলআউট করা। এসব দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। ”
চট্টগ্রাম টেস্টের অর্জনগুলো ফিরে ফিরে আসছে ঢাকা টেস্টের আগে,“জয় নিয়ে আলোচনা তো অবশ্যই। চট্টগ্রামে পাঁচ দিন খেলা হলে হয়তো-বা ফল ভিন্ন হত। আমরা এখন একটা দল হিসেবে অনেক আত্মবিশ্বাসী। ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলার দিকে আমাদের মনোযোগ। অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলব। এটি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এখানে যারা জিতবে, তারা সিরিজ জিতবে। তো আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব শতভাগ ঢেলে দিয়ে টেস্টটা জিততে। ”
মিরপুরের উইকেটের চরিত্রগুলো সম্পর্কেও একটা ধারণা দিলেন অধিনায়ক,“এখানে পেসারদের জন্য সাহায্য বেশি থাকে। বল তাই রিভার্স করে। রাজীব (সাহাদাত) এখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয় উইকেট পেয়েছিলো, রুবেলও অনেক ভালো বোলিং করেছে। স্পিনাররা যে এখানে খারাপ করে, তা না। তবে আমার মনে হয়, চট্টগ্রামের তুলনায় মিরপুরের উইকেটে টার্ন ও বাউন্স একটু কম হয়। এ কারণে আমার মনে হয়, এখানে টেম্পারমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা যদি এখানে রান নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো বোলিং করতে পারি, তাহলে সাকিব-সানি ভাইয়ের মতো বোলাররা এখান থেকে ভালো কিছু বের করতে পারবে। ব্যাটিংয়ের কথা বলব, তামিমের এখানে দেড়শ রানের ইনিংস আছে ভারতের বিপক্ষে। অনেকের সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি আছে। তো চট্টগ্রামের মতো এখানেও যদি আমরা সবাই ব্যাটিং-বোলিং দিয়ে অবদান রাখতে পারি, তাহলে ভালো কিছুই হবে। ”
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের খারাপ সময় পার করছেন ইমরুল কায়েস। ঢাকা টেস্টের মধ্যদিয়ে তিনি ফর্মে ফিরতে পারবেন বালে আশাবাদি অধিনায়ক,“এটি শুধু ইমরুল না, সবার ক্ষেত্রেই। আমাদের জন্য ওপেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জন্য বড় এক ম্যাচ। আমি বলব, আমার ছোট্ট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এখানে হারানোর কিছু নেই, কিন্তু অর্জনের আছে অনেক। সেটি ইমরুল জানে, আমাদের দল জানে। আশা করছি, ও শীঘ্রই ফর্মে আসবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১১