ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের রসদ পেলো চট্টগ্রামে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১১
দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের রসদ পেলো চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম: অনেকগুলো ব্যক্তিগত অর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। সাফল্যের ধারাবাহিকতা রেখে ঢাকা টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

মঙ্গলবার প্রথম টেস্টের অর্জন গুলো নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন অধিনায়ক।

প্রশ্ন: বৃষ্টিতে দুটোদিন ভেসে গেছে, এখন কি একটু আফসোস হচ্ছে?

মুশফিকুর: প্রথম দিন আমরা খুব ভালো শুরু করেছিলাম। জানতাম এই উইকেটে চতুর্থ-পঞ্চম, এমনকি তৃতীয় দিনে ব্যাটিং করা কঠিন হবে। বৃষ্টির কারণে দুদিন খেলা না হওয়ায় তাই আফসোস লাগছে। কিন্তু আমাদের কিছু করার ছিলো না। তারপরও এই টেস্টে ইতিবাচক অনেক কিছু আছে। পরের টেস্টে যা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।

প্রশ্ন: ইতিবাচক কি কি পেলেন, ব্যাখ্যা করবেন?

মুশফিকুর: প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রায় সবাই ভালো শুরু পেয়েছে। এর অর্থ ব্যাটসম্যানরা ছন্দে আছে। পরের টেস্টে কেউ হয়তো শুরুটা কাজে লাগিয়ে বড় ইনিংস খেলবে। অভিষেক হওযা দুজনই দারুণ করেছে। দলের যখন প্রয়োজন, তখনই নাসির খুব দ্রুত কিছু রান তুলেছে। সানি ভাই অসাধারণ। শেষের দিকে সাকিব অনেক ভালো বোলিং করেছে। এরকম বেশ কিছু ইতিবাচক দিক আছে।

প্রশ্ন: নিশ্চয়ই আগে থেকে ইনিংস ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো? তাহলে আরেকটু আগে করা যেতো কি?

মুশফিকুর: প্রথমে লক্ষ্য ছিলো ওদের ২০০ রানের নিচে বা ২১০-২২০ এর মধ্যে অলআউট করা। এরপর আমরা দ্রুত ব্যাটিং করে ইনিংস ঘোষণা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) ওরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। প্রায় আড়াইশ রান তুলে ফেলে। আমাদের লিড খুব বেশি ছিলো না। তখন যদি শুরুতে কয়েকটি উইকেট পড়ে যেত, তাহলে আমরা চাপে পড়ে যেতাম। সেজন্যই চেয়েছি, শুরুতে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে। এরপর আবির (শাহরিয়ার নাফিস) ভাই যেভাবে খেলছিলো, ভেবেছিলাম ২০০ করার পর ইনিংস ঘোষণা করবো। যদি ওদের চার-পাঁচ উইকেট তুলে নিতে পারি, সেটি পরের টেস্টের জন্য অনুপ্রেরণা।

প্রশ্ন: শুরুতে ওদের চার মারতে দেখে তখন কি মনে হয়েছিলো সিদ্ধান্তটা ভুল ছিলো?

মুশফিকুর: আসলে এই উইকেটে রান করা খুব কঠিন। সাকিব, সানি ভাই ভালো বোলিং করেছে। আমার তাই কখনো মনে হয়নি ভুল হয়েছে। বরং মনে হয়েছে, ওরা যত শট খেলবে, ওদের ভুল করার সুযোগ থাকবে। প্রথম উইকেট পড়ার পর মনে হয়েছিলো, এখন দুই-তিনটি উইকেট পড়লে একটা সুযোগ থাকতেও পারে। না হলেও পরের টেস্টের জন্য সেটি প্রেরণার।

প্রশ্ন: ঢাকা টেস্টে ধারাবাহিকতা রাখার সুযোগ আছে?

মুশফিকুর: এই টেস্টে বোলার-ব্যাটসম্যানরা যেমন খেলেছে, ঢাকায় সেটি হলে ইতিবাচক ফল পাব বলে আশাবাদি। দ্বিতীয় টেস্ট ওদের জন্য হবে বাঁচা-মরার লড়াই। সিরিজ জয়ের জন্য টেস্টটি জিততেই হবে। আমাদেরও তাই। আমরাও জেতার জন্য খেলব। উন্নতির অনেক সুযোগ আছে।

প্রশ্ন: ইলিয়াস সানির সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

মুশফিকুর: দুই বছর আমি সানি ভাইয়ের সঙ্গে বিমানে খেলেছি। জাতীয় লিগেও আমি তার বোলিং দেখেছি। সেই অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, সানি ভাই এর চেয়ে অনেক ভালো বোলিং করার সামর্থ্য রাখেন। তারপরও কোন সন্দেহ নেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে এমন বোলিং করা এক কথায় অসাধারণ।

প্রশ্ন: অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক টেস্ট নিয়ে আপনি খুশি কি না?
 
মুশফিকুর: অধিনায়ক হিসেবে খুব খুশি। ব্যাটসম্যান’েদর দায়িত্ব ছিলো। সেটি তারা করেছে। বোলারদের চ্যালেঞ্জ ছিলো। তাদের আড়াইশর নীচে অলআউট করে সেটিও করেছে। দলের পারফরমেন্সে আমি আনন্দিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।