চট্টগ্রাম: এলেন-খেললেন-জয় করলেন। ইলিয়াস সানির সঙ্গে কথা গুলো বেশ যায়।
নমস্য ইলিয়াস সানি। সূর্যের মতোই জ্বলজ্বলে হোক তার ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। স্বার্থক হোক সানি নামের। ছেলেটি কথায় যতটা সংযত বোলিংয়ে ততটাই আক্রমণাত্মক। ক্রিকেট খেলে খেলে পরিপক্ক। ৫৭টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে ২১০ উইকেট শিকারের পরই না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন।
দেশের সবচেয়ে নবীন এই টেস্ট ক্রিকেটার অভিষেকে বাজিমাত করে দেওয়ার গল্প বলছিলেন,“খুবই ভালো লেগেছে ম্যাচ সেরা হতে পেরে। চেষ্টা করেছি ভালো খেলার। শেষপর্যন্ত ছয় উইকেট পেয়েছি এক ইনিংসে। আমার জন্য এটা অনেক বড় কিছু। ”
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও সানিকে প্রশংসায় ভাসালেন,“সানি ভাই অনেক ভালো একজন বোলার। এই ম্যাচে যা করেছেন তারচেয়ে ভালো। উনার সঙ্গে আমি প্রিমিয়ার ক্রিকেটে খেলেছি। ”
সানিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রাখা হলেও খেলানো হয়নি। ওয়ানডে দলে তো সুযোগই পাননি। তবে চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো বোলিং করায় তাকে টেস্টে নেওয়া হয়। প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল তার ওপর আস্থা রাখেন। বিশ্বাসের প্রতিদান দেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার মতো কৃতিত্ব দেখালেন সানি। আর পাঁচ উইকেটের কোটায় চতুর্থ। অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন প্রথম টেস্ট অধিনায়ক। ২০০১ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে এক ইনিংসে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন পেস বোলার মঞ্জুরুল ইসলাম। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচটি উইকেট পেয়েছিলেন অফ স্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১১