ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ড্র টেস্টেও জয়ের আনন্দ

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১১
ড্র টেস্টেও জয়ের আনন্দ

চট্টগ্রাম: ড্র টেস্টেও জয়ের আনন্দ, তা হয় কি করে? হয়, হয়। যদি খেলার মতো খেলা হয়।

খেলায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য ছিলো বাংলাদেশ দলের। সর্বত্রই আধিপত্য। তারা যে ভাবে চেয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সেই নির্দেশনাগুলো শুনতে হয়েছে।

আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৩৫০ তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস ২৪৪ রানে বেঁধে ফেলা। প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের সঙ্গে তিন উইকেটে ১১৯ যোগ করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা। শেষপর্যন্ত একঘণ্টা সময় হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ড্র মেনে নিতে বাধ্য করা। ব্যক্তিগত অর্জনও আছে। অভিষেক টেস্টে ইলিয়াস সানির ইনিংসে ছয় এবং ম্যাচে সাত উইকেট অর্জন।

এই প্রথম কোন বাংলাদেশি অধিনায়ক টেস্টের দুই ইনিংস ঘোষণা করার সাহস দেখালেন। তা আবার অধিনায়কের অভিষেকে। ২০০৪ সালে হাবিবুল বাশারের দলের কাছেও চার্লস ব্রায়ান লারার দলের একই দশা হয়েছিলো, তাও তাদের মাঠে। ওই টেস্টে পুরো পাঁচদিনই খেলা হয়েছে। দুই ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি, অধিনায়ক বাশার, খালেদ মাসুদ পাইলট এবং মোহাম্মদ রফিকের।

চট্টগ্রাম টেস্টে তেমন কিছু হয়নি। তবে জমপেশ খেলা হয়েছে। ছোট ছোট স্কোরেও বড় লড়াইয়ের আকর্ষণ ছিলো। দুই অভিষিক্ত অলরাউন্ডার নাসির হোসেন এবং ইলিয়াস সানির ওপরও স্পট লাইট রাখা ছিলো। এক অর্থে দু’জনেই সফল। নাসির প্রথম ইনিংসে ৩৪ রান করেছেন। যে কয় ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছেন মন্দ হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে ব্যাট করতে হয়নি।

স্পট লাইটের আলো বেশি ছিলো ইলিয়াস সানির ওপর। বল হাতে দুর্বার ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট পেয়েছেন। নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং পেসার মঞ্জুরুল ইসলামের পরে দেশের তৃতীয় বোলার সানি ইনিংসে ছয় উইকেট পেলেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে সানির হাতে।

পাঁচ দিনের টেস্ট শেষপর্যন্ত তিন দিন খেলা হয়। প্রথম দিন ৯১ ওভার ব্যাটিং করে চার উইকেটে ২৫৫ রান করেছিলো বাংলাদেশ দল। পরের দুইদিনের খেলা পরিত্যক্ত। শেষ দুইদিন আপন গতিতে খেলা চলেছে। এই টেস্টে বাংলাদেশ দলের দুর্বলতা খুব একটা ছিলো না, কয়েকটি ক্যাচ ফেলা ছাড়া। ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগে নিখুঁত ছিলো। বোলিং কত ভালো ছিলো বোঝার জন্য বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। শেষ দিনে ১০টি উইকেট পড়েছে। যারমধ্যে সাতটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তিনটি বাংলাদেশের।

তবে উইকেট থেকে যে পরিমাণ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ দল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অতটা নাও পাওয়া যেতে পারে। স্পিনাররা টার্ন না পেলে শিবনারায়ন চন্দরপলরা স্বরূপে আর্বিভূত হবেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে রান করাও যেমন কঠিন ছিলো, তেমনি আউট করাও কঠিন। পেস বোলারদের জন্য উইকেটে কিছুই ছিলো না।

সব ভালোর মধ্যে অতৃপ্তির স্থান নেই। বিষাদ ধারে কাছে চাপতে পারেনি। হাসি-খুশিতে কেটেছে দিনগুলো। পরের টেস্টেও এমন হলেই ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।