ঢাকা: যুব হকির ফাইনাল চলছিল । হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন মাঠে মধ্যে ঢুকে পরলেন হকির সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা।
হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স উচ্চস্বরেই বলছিলেন, "এটা লোক দেখানো খেলা। ৬ মাস পর একটি করে টুর্নামেন্ট করে নিজেদের আসন রক্ষা করতে চাইছেন ফেডারেশনের কর্তারা। এভাবে চলতে পারে না। আমরা হকিকে বাঁচাতে চাই। " পরে ফাইনালে উপস্থিত প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আহাদ আলী সরকারের আশ্বাসে শান্ত হন।
হকি বাঁচাতে এর বেশি আর কি প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে। ২০০৪ সালে সর্বশেষ টার্ফে গড়িয়েছিল জাতীয় যুব হকি। ৪ বছর ধরে টার্ফে নেই জাতীয় হকি। গেল ২ বছর ধরে নেই প্রথম বিভাগ হকি লিগের খেলা। এভাবেই চলছে বর্তমান হকির কার্যক্রম। তাই যুব হকির ফাইনালের দিনকেই নিজেদের প্রতিবাদের সময় বেছে নিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান জাতীয় হকি দলের সদস্যরা।
মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে সোমবার ফাইনালে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ঢাকা-রাজশাহীর কেউই। তবে একটি বিতর্কিত পেনাল্টিকে ঘিরে প্রায় নয় মিনিট বন্ধ থাকে। প্রথমার্ধ শেষে মাঠে উপস্থিত হন প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে জড়ো হতে থাকেন সাবেক ও বর্তমান জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। তখনো বোঝা যাচ্ছিল না কি ঘটতে যাচ্ছে এ ফাইনালে। ম্যাচের তখন ৪৬ মিনিট। প্রায় ২৫ জনের একটি দল মাঠে প্রবেশ করে। সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের দেখে ম্যাচের খেলোয়াড়রা তখন মাঠের বাইরে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে হাজির হন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী। শুরু হয় বাক-বিতন্ডা।
প্রিন্স বলেন, ‘ফেডারেশনে কোনো কার্যক্রম নেই। স্থবির হয়ে পড়েছে হকি। জাতীয় এবং ঘরোয়া কোনো খেলাই হচ্ছে না। স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের তৃতীয় জনপ্রিয় এই খেলাটি। ’ সাবেক সাধারণ সম্পাদকও তাদের বোঝাতে ব্যার্থ হন। পরে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার উপায়ন্ত না দেখে নিজেই মীমাংসা করেন বিষয়টি। সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে তার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সাবেক তারকাদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচটি বাকী অংশ আর অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। উভয় দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১১