চট্টগ্রাম: ফিল্ডিংয়ের আগের দৃশ্যে ক্রিকেটাররা সার বেঁধে দাঁড়িয়ে। প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল সাজঘর থেকে নেমে এসে নাসির হোসেনের হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন।
প্রতীকি অর্থে মহামূল্যবান এই ক্যাপ। খেলতে খেলতে অনেক ক্যাপই তারা পাবেন কিন্তু এটি ব্যতিক্রম। অভিষেক টেস্টে ক্রিকেটারদের চেষ্টা থাকে ভালো কিছু করে দেখানোর। ইলিয়াস সানি বোলিংয়ে আলো ছড়াচ্ছেন আর নাসির হোসেন ব্যাট হাতে মোটামুটি সাইজের একটি ইনিংস খেলেছেন। যদিও সানি বড় সাফল্যের অপেক্ষায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে পাঁচটি উইকেট পড়েছে তার চারটিই সানির দখলে। এটাকে পাঁচ বা ততোধিক উইকেটে নিয়ে যেতেও পারেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। সোমবার ১৬ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে চার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন তিনি। উইকেটের তুলনায় রান বেশি দেওয়ায় প্রত্যাশিত বোলিং হয়নি বলে দাবি করছেন সানি। কারণটা তার মুখেই শোনাযাক,“চার উইকেট নিয়ে খুশি কি না ঠিক বলতে পারছি না। আমি আমার মতো বল করতে পারিনি। ”
তার মতো বলতে উইকেট কিনতে হয়েছে চড়ামূল্যে। তবে ক্যাচ না ফেললে হিসেবটা অন্যরকম হতে পারতো। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই পাঁচ উইকেটের বেশি হয়ে যেতো। যদিও উইকেট হাত ফসকে যাওয়াকে খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার,“ক্যাচগুলার কথা বলতে গেলে খেলার অংশই বলতে হবে। মিস হইতেই পারে। ”
৫৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন সানি। ২৭ বছরে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়ে বেজায় খুশি,“প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে টেস্ট খেলার। যে সময় সাকিব ক্যাপটা পড়িয়ে দিচ্ছিলো সেই মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। অনেক ভালো লেগেছে। ”
অভিষেক ম্যাচ খেলতে গিয়ে অনেকে ভরকে গিয়ে নিজেকে মেলেই ধরতে পারেন না। অনেকে আবার বাজিমাত করেন। সাকিব, নাঈমদের অভিজ্ঞতার সামনে বাজিমাতই করতে যাচ্ছেন সানি।
আরেক অভিষিক্ত ক্রিকেটার নাসির হোসেন টেস্ট ক্যাচ হাতে পেয়ে আনন্দে ভাসছিলেন। “যখন ক্যাপটা আমাকে দেওয়া হলো তখন কোচকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছে হয়েছিলো। তা তো করা যায় না। এত আনন্দ আগে পাইনি। ”
আনন্দের মাঝেও চোড়াবালুর মতো লুকিয়ে আছে কষ্ট। নাসির বললেন,“আমি ভালো খেলতে পারিনি। বড় ইনিংস খেলার ইচ্ছে ছিলো। অপরাজিত থাকতে চেয়েছিলাম পারিনি। খারাপ লাগা তো খুব স্বাভাবিক। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১১