চট্টগ্রাম: ভারসাম্য দল বলতে যা বোঝায় এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঠিক তাই। পেস এবং স্পিনের সমন্বয়ে নির্ভেজাল বোলিং আক্রমণ।
কিন্তু খেলা যখন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তখন মনের ভেতরে খচখচানি থাকাটা স্বাভাবিক। মাত্র দুই দিন হয়েছে স্বাগতিক দলের কাছে শেষ ওয়ানডেতে ৬১ রানে অল-আউটের অভিজ্ঞতা নিতে হয় তাদেরকে। টেস্টেও যে তেমন কিছু হবে না সে নিশ্চয়তা কোথায়। যদিও ড্যারেন স্যামি ওই পরাজয়কে অতীত হিসেবে দেখছেন,“আমরা দেখেছি তারা কি করতে পারে। যে কোন সময় তাদের প্রতিরোধের জন্য আমরা প্রস্তুতও ছিলাম। তবে ওই ঘটনা আমরা ফেলে এসেছি। আমাদের চন্দর পল, কিক ওডওয়ার্ড, ব্রাথওয়েট, ফিল্ড এডওয়ার্ডের মতো ক্রিকের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অতএব আমরা নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।
ওয়ানডে সিরিজের আগে যতটা ঢাকাঢোল পিটিয়ে সবগুলো ম্যাচ জিতে নেওয়ার কথা বলেছিলেন ক্যারিবিয় ক্রিকেটাররা। টেস্ট সিরিজের আগে সেভাবে ভাবছেন না। অন্তত ড্যারেন স্যামি সতর্ক থেকে বলেছেন,“আমরা জানি কি ধরণের ক্রিকেট তারা খেলতে পারে। ”
ক্যারিবিয় অধিনায়ক ধরেই নিয়েছেন ওয়ানডের মতো উইকেটেই খেলা হবে টেস্ট ম্যাচ। বাস্তবতা অন্য। টেস্টের জন্য ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তৈরি হয়েছে।
স্যামি জানালেন, তরুণ এবং অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের মিশেল দল নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ ড্র করেছে এবং ভারতের বিপক্ষেও ভালো খেলেছে। যার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান বাংলাদেশ সফরে।
২০১০ সালের পর প্রায় ১৭ মাস পরে একটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাও ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট হবে বছরের দ্বিতীয়। স্যামির তো বিশ্বাসই ছিলো না তাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১১