ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

রানের ক্ষুধা সাকিবের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১১
রানের ক্ষুধা সাকিবের

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ দল মানেই বাঁহাতি ক্রিকেটারের খনি। বিশেষ করে তিন স্পিনার সাকিব আল হাসান, ইলিয়াস সানি এবং সোহরাওয়ার্দী শুভ।

শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস এবং শাহরিয়ার নাফিসও বাঁহাতে খেলেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে টেস্ট হতে যাচ্ছে, এক অর্থে বাঁ হাতে খেলবে বাংলাদেশ দল। বাঁহাতি স্পিন জুজুও আছে প্রতিপক্ষ দলের। সাকিব বাঁ হাতের ভেল্কি দেখালে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটিংয়ে মড়ক লেগে যেতে পারে। ব্যাটিংয়েও তাই। সাকিব বড় ইনিংস খেললে বাংলাদেশ দলের স্কোর উচ্চতা পায়। ব্যাটিংয়ে সফল হতে অনেক পরিশ্রমও করছেন তিনি। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের কাছ থেকেই জানা গেলো ব্যাটিংয়ে ভালো করলে খুশি হবেন,“ব্যাটিং নিয়ে অনেক পরিশ্রম করছি। রান পেলে ভালো লাগবে। রানটাই আমার ভালো লাগে। ”

তাই বলে বোলিং নিয়ে যে ভাবছেন না তাও নয়। ভাবছেন এবং মনে মনে একটু বেশিই ভাবছেন। সাকিবের কথায়ই তা স্পষ্ট,“রফিক ভাই সাতবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে পেয়েছেন। উনার সঙ্গে যুগ্মভাবে সাত ইনিংসে আমারও পাঁচ উইকেট করে আছে। এই টেস্টে আরেকবার পাঁচ উইকেট পেলে ভালো হয়। রফিক ভাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারি। ”

চট্টগ্রামের উইকেটও স্পিনারদের জন্য সহায়ক। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে অল-আউট করে দেওয়া তার প্রমাণ। যদিও টেস্টের উইকেটে অতটা টার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। বলেন,“দিনভর যে রোদ ছিলো, তাতে মনে হয় না উইকেটে খুব বেশি টার্ন পাওয়া যাবে। আমার মনে হয় ব্যাটিং উইকেটই হবে। ”

আরেক বাঁহাতি অলরাউন্ডার ইলিয়াস সানির টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে। অধীর আগ্রহে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন জাতীয় দলের নবীন এই ক্রিকেটার। তার মতে,“দেশে অনেক ক্রিকেটার আছে। তাদের মধ্য থেকে অল্প কয়েকজন জাতীয় দলের সদস্য হওয়ার সুযোগ পায়। টেস্ট খেলতে পারা তো অনেক সৌভাগ্যের। যদি খেলার সুযোগ হয় অবশ্যই ভালো লাগবে এবং ভালো খেলার চেষ্টা করবো। ”

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে ইলিয়াস সানির। স্বাগতিক চট্টগ্রামের হয়ে বরিশালের বিপক্ষে খেলেছেন। প্রত্যাশিত বোলিং হয়তো করতে পারেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলে নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করবেন তিনি।

ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ না খেলা হলেও টেস্টের শুরু থেকে খেলছেন শাহরিয়ার নাফিস। চট্টগ্রামের মাঠ তার কাছেও প্রিয় ভেন্যু। “এখানে আমি রান পাই। চেষ্টা থাকবে একটা বড় ইনিংস খেলার। শেষ কথা হলো আমাকে ভালো খেলতে হবে। ”

টেস্টে সফল হতে হলে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল হতে হবে বলে মনে করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান,“রানের বিকল্প নেই। বোলাররা হয়তো ২০ উইকেট নিবে। আমাদের বোলাররা সব সময়ই ভালো করে। শেষ ওয়ানডেতে তা করেও দেখিয়েছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা রান করতে না পারলে সব কিছু মূল্যহীন। রান করতে হবে। ”
 
রকিবুল হাসানকে দলে নেওয়া হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাকেও খেলানো হবে। অনেক দিন পর দলে ফেরা এই ব্যাটসম্যানেরও লক্ষ্য ভালো ইনিংস খেলা,“রান করতে না পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগও থাকে না। জানি খেলতে হলে আমাকে পারফর্ম করেই টিকে থাকতে হবে। ”

স্পিনের উল্টো চিত্র পেস বোলিংয়ে। কোন অলরাউন্ডার নেই। প্রত্যেকে আবার ডানহাতি বোলার। ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে যে তিন জন পেস বোলার আছেন। তাদের মধ্যে থেকে খেলার সুযোগ পাবেন দুই জন। সেক্ষেত্রে সাহাদাত হোসনে এবং রুবেল হোসেনের জায়গা হতে পারে একাদশে।

অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের অভিষেক হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। জিম্বাবুয়ে সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়া এই ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও হোম সিরিজে ভালো খেলেছেন। সেদিক থেকে তাকে টেস্টে খেলানো হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।