ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

পয়মন্ত মাঠে জয়ে ফেরার স্বপ্ন

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১
পয়মন্ত মাঠে জয়ে ফেরার স্বপ্ন

চট্টগ্রাম: আবহাওয়া বার্তা বলছে টানা বৃষ্টি হবে। তা হলে তো খেলা হওয়ার সম্ভাবনাই নেই! খেলার আগেই তো উৎপাত শুরু করে দিয়েছে বৃষ্টি।

বাংলাদেশ দল চট্টগ্রামে অনুশীলন করতে গিয়ে বৃষ্টির ধাওয়া পর্যন্ত খেয়েছে।

খেলা হবে না ধরে নিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। মাঠে অনুশীলন করতে না পারলেও ইনডোরের নেটে ঘন্টা খানেক ঘাম ঝড়িয়েছেন তারা। খেলার আগের দিন এরচেয়ে বেশি অনুশীলনও হয় না।

অনুশীলন করেও যে খুব লাভ হচ্ছে তাও না। সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ দল তো কম অনুশীলন করেনি। বিসিবি কাপ খেলেছে। লাল-সবুজ দলের মধ্যে খেলা হয়েছে। এককথায় ভুরি ভুরি ম্যাচ প্র্যাকটিস করেছে জাতীয় দল। কিন্তু খেলায় তার প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে কোথায়? একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলেও মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজ হেরে পাড়ি জমিয়েছে চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচটি জয়ের আশায়। হেরে গেলে ধবলধোলাই। মান বাঁচাতে হলেও সিরিজ সমাপনী ম্যাচে জ্বলে উঠতে হবে বাংলাদেশ দলকে। সংবাদ সম্মেলনে নাসির আহমেদও সে কথাই বললেন,“আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ জেতা। জয়ের চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না। ভালো খেলা উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। ”

বিশ্বকাপের সময় ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫৮ রানে অল-আউট হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলো বাংলাদেশ দল। বিপর্যস্ত দল নেতা সাকিব আল হাসান সবাইকে নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছিলেন স্বপ্ন ডানা মেলতে। ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেট হারিয়ে পুনরুজ্জীবিত হতে পেরেছিলো বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের মতো না হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ভালো খেলার অদম্য ইচ্ছে তো থাকবেই।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বাংলাদেশ দলের জন্য পয়মন্তও বটে। সর্বশেষ তিন ম্যাচের কোনটিতে হারেনি তারা। যে ১৩টি ম্যাচ খেলেছে তারমধ্যে ছয়টিতে জিতেছে। হেরেছে পাঁচ ম্যাচে, বাকি দুটি পরিত্যক্ত। ভারতের সঙ্গে ২০০৭ সালে এবং ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা হয়নি। মঙ্গলবার যদি খেলা হয় তাহলে অতীতের মধুর অভিজ্ঞতা ফিরে পেতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

১৪ মার্চ ইংল্যান্ড যে উইকেটে খেলে ধরাশায়ী হয়েছিলো সেই একই উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছে শেষ ম্যাচের জন্য। এই মাঠে এখনো খেলেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অতএব উইকেট দেখে যতটা ধারণা নিয়েছে ক্যারিবিয় শিবির, খেলার সময় উল্টো চরিত্র দেখে আপসোস হতে পারে। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বলেছেন,“উইকেট দেখে খুবই ভালো মনে হচ্ছে। আগে যে ধরণের উইকেটে খেলেছি এটাও তেমনই হওয়ার কথা। নিশ্চয়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলা হবে। ”

অনুশীলনে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের দেখে মনে হয়নি কেউ চাপে আছেন। দলের নির্ভরতার প্রতিক সাকিব একদমই চাপ মনে করছেন না,“চাপ নেই। আগের চেয়ে অনেক ভালো থাকি। বিশ্বকাপের সময় অধিনায়ক ছিলাম তাই একটু চাপ ছিলো। আমি জানি ভালো খেলতে হবে এবং ম্যাচ জিততে হবে। ”

বাংলাদেশের ভালো খেলা অনেকটাই নির্ভর করছে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস এবং সাকিবের ওপর। এই তিন ব্যাটসম্যান রান পেলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পাবে বাংলাদেশ। তরুণ ব্যাটসম্যান নাসির হোসেনও অবদান রাখতে চান। বলছিলেন,“খেলা না হলে কষ্ট পাবো। আমার জন্য খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামে এখনো কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। তবে জাতীয় লিগের অনেক ম্যাচ খেলেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে। ম্যাচ দেখাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন।

বাংলাদেশ সময়:  ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।