ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

উইকেটে হতাশ মুশফিকুর

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১

ঢাকা: কল্পনার অতীত কিছু হলে বিস্ময় প্রকাশ করে মানুষ। ভালো হলে হৃদ স্পন্দন বেড়ে যায় ভালো লাগা থেকে।

খারাপ হলে বিমর্ষ পেয়ে বসে। তাই বলে পেশাদার একটি ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা খেলার মধ্যে হতাশ হয়ে যাবেন!

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সংবাদ সম্মেলনে জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যখন বেধরক পেটাচ্ছিলেন তখন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ফল যা হবার তাই হয়েছে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২৯৮ রান। মুশফিকুর যে ভাবে বলেছেন,“কেবল উইকেটকে দোষ দেবো না। আমাদের স্পিনাররাও যে আজ খুব ভাল বল করেছে তাও নয়। আমি বলতে চাইছি, উইকেট থেকে সহায়তা পাওয়াটা আমাদের জন্য খুব দরকার ছিল। যেটা আমরা একদমই পাইনি। হতাশাটা ওভাবে নয়। হয়তো কঠিণ কিছু সুযোগ এসেছিল। যেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে ফিল্ডাররা। শেষ পর্যন্ত হয়তো সেটা আমাদের পক্ষে যায়নি। আশা করছি পরের ম্যাচে ভাগ্য আমাদের সহায় হবে। ”

টসে জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফল হলেও ওয়েনডেতে হয়নি। আগে ফিল্ডিং নেওয়া বিষয়ে মুশফিকুর বলেন,“ডে নাইট ম্যাচে সাধারনত প্রথম ইনিংসে উকেকেট কিছুটা শুকনো থাকে। তাতে স্পিনাররা সহায়তা পায়। তাছাড়া রাতে আমাদের স্পিনারদের শিশিরের জন্য বল গ্রীপ করতে সমস্যা হয়। তখন ব্যাটিংটা সহজ হয়ে যায়। তবে উইকেট থেকে আমরা তেমন কোন সহায়তা না পাওয়ায় হওতো মনে হচ্ছে আমাদের টসের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। ”
 
ইনিংসের মাঝামাসি সময়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নেওয়ার ব্যতিক্রম ঘটনাও ঘটেছে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে। অধিনায়কের যুক্তি,“নাঈম ভাই আর ইমরুল যখন ব্যাটিং করছিলেন। তখন আমাদের ওভার প্রতি প্রয়োজন ছিল সাড়ে সাত করে। নরমাল ফিল্ডিং-এর সময় রান উঠছিল ৩-৪ করে। যেহেতু তারা দু’জনই সেট ব্যাটসম্যান ছিল। মনে হয়েছিল এখনই পাওয়ার প্লের সুযোগটা নেয়া উচিত। কারণ তখন মূল বোলাররা বোলিং করবে। পাওয়ার প্লের সময় তাদের ওভারগুলো শেষ হয়ে গেলে এবং পাওয়ার প্লেটা ব্যবহার করতে পারলে হয়তো আমাদের জন্য প্রত্যাশিত রানরেটটা কমে আসবে। এত বড় রান মোকাবেলায় ঝুঁকি নিতে হয়। আমরা সেটা নিয়েছিলাম। হয়তো সেটা সহায়ক হয়নি। পাওয়ার প্লেটা কাজে লাগাতে পারলে হয়তো শেষ ১২০ বলে ১৬০ না হয়ে টার্গেটটা ১৪০ হয়ে যেতো। ”

এত কিছুর পরেও ফিলিং এবং ব্যাটিংয়ের দুর্বলতাগুলো এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। বিষয়টি মুশফিকুরে চোখ এড়ায়নি,“আমার মনে হয় সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু নেই। সাধরণত দেখা যায় আমরা ২০ অথবা ৩০ বা অর্ধশতক করে আউট হয়ে যাই। উচিত ছিল এমন একটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যিনি সেট হবে তার বড় একটা ইনিংস খেলা। বিশেষ করে লক্ষ্য যখন ৩শ’র কাছাকাছি ছিল। আমার মনে হয় টপ অর্ডারের কেউ যদি তিন অঙ্কে যেতে পারতো, হয়তো এই রানটা আমরা মোকাবেলা করতে পারতাম। ”

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।