ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ঢাকায় পৌঁছানের পর থেকে আলোচনার বিষয় ছিলো উইকেট এবং বাংলাদেশের স্পিন। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শেষে ড্যালন্ডল সিমন্সকেও সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ উইকেট পেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। তা না হলে সাকিব, রাজ্জাকের মতো বাঁহাতি বোলারদের তুলোধুনো করে শতক হাঁকানো মুখের কথা নয়। সিমন্সের মতে,“পিচ খুবই ভালো ছিলো। ব্যাটে বল এসেছে। বাংলাদেশে আসার আগে ভারতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছি। আজকে বোলাররাও ভালো করেছে। অবশ্য আমরা যে রান দিয়েছি তা ডিফেন করার জন্য যথেষ্ট। ”
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন সিমন্স। ১২৪ বলে খেলেছেন ১২২ রানের লম্বা ইনিংস। যদি শেষ দশ ম্যাচে ছয়টি হাফ সেঞ্চুরিও আছে ডানহাতি এই ব্যাটম্যানের। সেঞ্চুরি হতে হতেও হয়নি। অভিষেক সেঞ্চুরিা মা এবং মেয়েকে উৎসর্গ করেছেন ত্রিনিদাদের ক্রিকেটার। “একটি বিশেষ ইনিংস খেলেছি আমি। পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে আমি চেষ্টা করেও পারিনি। আজকে আমার প্রথম সেঞ্চুরি করেছি। মা এবং মেয়েকে উৎসর্গ করতে চাই। দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ”
ধীরে সুস্থ্যে দেখেশুনে ইনিংস সাজিয়েছেন সিমন্স। বাংলাদেশের বোলারদের খুব একটা সুযোগ দেননি। ‘আমরা যে ভাবে শুরু করতে চেয়েছিলাম হয়নি। তবে পাঁচ ওভার শেষে আমরা পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়েছি। ”
দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের তালিকায় যোগ হতে চলেছে সিমন্সের নাম। ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি এই ক্রিকেটার নিজেকে প্রত্যাশিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান,“এখন আমি সিনিয়র ক্রিকেটারদের তালিকায় যাচ্ছি। আমি এবং বারাথ ইনিংস শুরু করি। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগোর হয়ে আমরা অনেক ইনিংস ওপেন করেছি আমরা। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুবই ভালো। আশা করি একটি ভালো জুটি হয়ে উঠতে পারবো। ”
উইকেট সম্পর্কে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যেমন ধারণা ছিলো ক্যারিবিয়নদেরও তাই। শেষপর্যন্ত হয়েছে ব্যাটিং বান্ধব। “খুব সামান্য টার্ন ছিলো। যতটা আমরা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক কম ছিলো। বল স্কিট করে ব্যাটে এসেছে এবং সেটাই চেয়েছিলাম। ”
বাংলাদেশ সময়: ২২, অক্টোবর ১৩, ২০১১