ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১
হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ঢাকা:  ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্বাগতিকরা সাত উইকেট হারিয়ে তোলে ২৫৮ রান।

আগে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে সফরকারীরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৯৮/৪ (৫০ ওভার)
বাংলাদেশ: ২৫৮/৭ (৫০ ওভার)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০ রানে জয়ী

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সতর্ক সূচনা করেছিলেন তামিম ইকবাল ও নাঈম ইসলাম। তবে অর্ধশতক রানের আগেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে যায়। ১২.১ ওভারে দেবেন্দ্র বিশুর বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক দিনেশ রামদিনের গ্লাভসে ধরা পড়েন তামিম(২১)। প্রথম জুটিতে আসে ৪৪ রান।

ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন নাঈম। ২৫ ওভারে ১০০ রান তোলে বাংলাদেশ। এ সময়ে রান তোলায় গতি আনতে পাওয়ার প্লে নেয় স্বাগতিকরা। বাহারি কিছু শট খেলে নিজের অর্ধশতক আদায় করেন নাঈম। দলীয় ১২২ রানে আন্দ্রে রাসেলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ডেনজা হায়াতের তালুতে। ৮২ বল খেলে চারটি চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

নাইমের বিদায় দিয়েই বিপর্যয়ের সূচনা বাংলাদেশে। ১৩০ রানে চার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত দুই রানে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ আশরাফুল। রবি রামপলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাবেক অধিনায়ক। অন্যদিকে  ৫২ বলে ৪২ রান করে দিনেশ রামদিনের গ্লাভসে ধরা পড়েন ইমরুল কায়েস। এক্ষেত্রে বোলার ছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। স্যামুয়েলসের বল মারতে গিয়ে ড্যারেন ব্রাভোর তালুবন্দী হন মুশফিক (২১)।

ষষ্ঠ উইকেটে অলক কাপালিকে নিয়ে ৫৫ রানে জুটি উপহার দেন সাকিব আল হাসান। ২১৯ রানে এই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান রামপল। তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন কাপালি (২০)। উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান সাকিব। ৪৪ বলে নিজের ২২তম অর্ধশতক আদায় করেন তিনি।

এর আগে মিরপুর স্টেডিয়ামে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যার্টিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা উপহার দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্স ও আদ্রিয়ান বারাথ। ৬৭ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকে এই জুটি।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া বাংলাদেশের বোলাররা অনেক ফাঁদ পেতেও যখন সুবিধা করতে পারছিলেন না। তখন চোটের ফাঁদে পড়েন আদ্রিয়ান বারাথ। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যার জন্য মাঠ থেকে উঠে যান এই ব্যাটসম্যান। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র নতুন নিয়ম অনুযায়ী রানার নিয়ে খেলতে পারবেন না চোটআক্রান্ত কোন ব্যাটসম্যান। অবশ্য মাঠ থেকে উঠে (রির্টায়াড হার্ট) যাওয়ার আগে নিজের নামের পাশে ২১ রান যোগ করেন তিনি।

বারাথ উঠে গেলে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে মুশফিকুর রহিমের দল! এতেও কাজ হয়নি। বাংলাদেশি পেস ও স্পিন আক্রমণও থামাতে পারেনি ক্যারিবিয় দলের রানের চাকা। সিমন্সের সঙ্গে এসময় এসে যোগ দেন মারলন স্যামুয়েলস। আগের চেয়ে এই জুটি আরও ভয়ঙ্কর রূপধারণ করে স্বাগতিকদের সামনে।

অধিনায়ক মুশফিকও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন! প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপে চিড় ধরাতে তিনি একে একে ডাকেন সাকিব, রুবেল, শফিউল, রাজ্জাক, নাঈম, নাসির ও অলককে। কিন্তু কোন বোলারই সাফল্য পাননি ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে। এরই মধ্যে ১১৩ বল খেলে শতক পূর্ণ করেন লেন্ডল সিমন্স।

দুপুরের রোদের চেয়েও উইকেট না পাওয়ার যন্ত্রণায় হাসফাস করছিলেন বোলাররা! কিন্তু ৪১ ওভার পর্যন্ত সাফল্য ধরা দেয়নি তাদের হাতে। অবশেষে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে ভাঙ্গন ধরান রুবেল হোসেন। তার বল মারতে গিয়ে ফাইনলেগে অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দেন সিমন্স। আটটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ১২২ রান করেন তিনি।

অবশ্য সাজঘরে ফেরার আগে স্যামুয়েলসের সঙ্গে গড়েন ১৫০ রানের জুটি। তিনি যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, আনন্দে মাতোয়ারা উঠে বাংলাদেশ শিবির। কারণ তার বিদায়ে প্রথম উইকেট শিকার করে স্বাগতিকরা। এরপর রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হন স্যামুয়েলস। ৭৮ বল খেলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ৭১ রান করেন এই ক্রিকেটার।

সিমন্স ও স্যামুয়েলসের পর আরও দুইজন ব্যাটসম্যানকে আউট করে বাংলাদেশ। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হন ড্যারেন ব্রাভো (২০) ও কিরণ পোলার্ডকে (৪১) সাজঘরে ফেরান রুবেল। শেষপর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে দিনেশ রামদিনের দল।    

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।