ঢাকা: ওয়ানডে ক্রিকেট রাজত্বের অনেক পুরনো শাসক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রথম দুই বিশ্বকাপ জয়ী দল। সে এক সোনালী অতীত।
অতএব যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলবে তারা বাংলাদেশের কাছে পরাজিত। সদ্য শেষ টি-টোয়েন্টিতেও হেরেছে। দুই বছর আগে তিন ম্যাচ ওয়ানডে এবং দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে, তাও দেশের মাঠে। এবার বাংলাদেশ খেলবে নিজেদের মাঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যতই পেস বোলারের বহর নিয়ে খেলতে নামুক, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সোজা ব্যাটে খেলে প্রতিউত্তরও দিয়ে দিতে পারে। একদিন আগেই তো রবি রামপালকে হতভম্ব করে দিয়েছেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
উল্টো বাংলাদেশ যদি স্পিন বলের জাদুর ঝাপি খুলে দেয়, তাহলে আদ্রিয়ান বারাথ, মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন স্যামিদের মলিন মুখ দেখতে পাবেন ঢাকার দর্শকরা। স্বাগতিক দলের ক্রিকেটাররা যে মানসিকতায় আছেন, এতে করে প্রথম ওয়ানডেতে জয় পরাজয়ের সমাধান হবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যদিয়ে।
যদিও পরিসংখ্যানে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ দল। ১৭ ওয়ানডে খেলে জিতেছে মাত্র তিনটিতে। তাও সর্বশেষ সিরিজে। সেখানে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের সাফল্য ১২ ম্যাচে। তবে একদিক থেকে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায়, প্রতিটি হারের আগে গর্জে উঠার চেষ্টা করেছে। কি দেশের মাঠ, কি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ, ক্যারিবিয় দলের বিপক্ষে ভালো খেলে বাংলাদেশ। অন্তত যাচ্ছে তাই ভাবে হারের রেকর্ড বেশি না। অল্প কয়েক ম্যাচে।
সর্বশেষ দেশের মাঠে পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে দু’টোতেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও উভয় সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে জিতেছে। এদিক থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে এই সেপ্টেম্বরে মাজুল জিম্বাবুয়ের কাছেও ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। যে দলটিকে বেধরক পিটুনি দিচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ দলের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ হয়ে গেছে শাপমোচনের। একটি পরীক্ষায় উৎড়ে গেছে। আসল পরীক্ষা বুধবার থেকে।
৫৮ রানের কথা সবারই কম বেশি জানা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওই রানে অল-আউট করে দিয়েছিলো বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক বাংলাদেশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেষ্টা থাকবে শেষ স্মৃতি রোমন্থন করার। বাংলাদেশ ওই দিনকে কবর দিতে মরিয়া হয়ে খেলবে একটি জয়ের জন্য।
উইকেট বাংলাদেশের প্রয়োজন মতো তৈরি করা হয়েছে। দিবারাত্রির খেলা হওয়ায় শিশিরের সুবিধাও পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে টসে জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবদিন তো মুশফিকুর টসে জিতবেন না। পরে বোলিং করতে হলে সাকিব, রাজ্জাকের জন্য আঙ্গুলের কাজ দেখানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। দুপুর দেড়টা থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে খেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১