ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মারমুখো হয়ে আছেন পোলার্ড

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১
মারমুখো হয়ে আছেন পোলার্ড

ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারদের মুখে প্রতিদিন একটি কথা শোনা যায়, খেলা খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি প্রথম দিন থেকে এই কথা বলে আসছেন।

প্রথম ওয়ানডের আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসে কিরণ পোলার্ডও বললেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলার কথা। আরেকটি কথা অবশ্য বলেছেন, বাংলাদেশকে হারাবে তাদের দল। শক্তির বিচারে এই দাবি করছেন পোলার্ড।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি খেলে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। উপমহাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে এক মাসে ভালোই ধারণা হয়েছে বলে জানান তিনি,“উপমহাদেশের কন্ডিশন একই রকম হয়। আমি ভারতে প্রায় একমাস প্র্যাকটিসের মধ্যে ছিলাম এবং খেলেছি। খেলার পদ্ধতি আমার জানা হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে অন্য এক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। আমি এখানে সফল হতে চেষ্টা করবো। ”

দুই বছর আগের কথা। ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়তে ওই প্রথম ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। যদিও কিরণ পোলার্ড ওই সিরিজে খেলেননি। কিন্তু দেশের হয়ে পরাজয়ের গ্লানি তাকেও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তারই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যে মুখিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের কথায় তা স্পষ্ট। বলেন,“এই সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এবং আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আমরা আমাদের সেরাটা খেলে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। ”

৪৩ ওয়ানডে এবং ২০ টেস্ট খেলা পোলার্ড পেস বোলিয়ের বিরুদ্ধে দুর্বার। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে তার প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকার উইকেটে স্পিনের বিপরীতে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারবেন তা বলা মুশকিল। যদিও তিনি মনে করেন ভারতে খেলতে পারলে বাংলাদেশেও সমস্যা হবে না। “এখানের উইকেট স্লো, ভারতের উইকেটও স্লো। চেন্নাইতে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি। একই ধরণের উইকেট হবে। সত্যি বলতে অবস্থা বুঝে খেলতে হবে। একজন ব্যাটসম্যানকে উইকেট ভালো করে বুঝে নিতে হবে। আমাকে আগে উইকেট বুঝতে হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন শট খেলবো এবং কোনটি ছেড়ে দেবো। ”

খুব বেশি আগের কথা নয়। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে কি দুর্বারই না হয়ে উঠেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পেস এবং স্পিনের সমন্বয়ে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ধ্বসিয়ে দিয়েছিলো ৫৮ রানে। তার পুনরাবৃত্তি করতে পারলে মন্দ হয় না। পোলার্ডও জানালেন বিশ্বকাপের সে ম্যাচ তাদের জন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।

যদিও পেস বোলারদের আধিপত্য শেষপর্যন্ত এই সিরিজে নাও থাকতে পারে। স্পিন এবং স্পিনের রাজত্বে ভেসে যেতে পারে ক্যারিবিয় প্রত্যাশা। পোলার্ডও মনে করেন পেসারদের জন্য খুব কঠিন হবে এই সিরিজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।