ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

নেতার রাজসিক অভিষেক

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১
নেতার রাজসিক অভিষেক

ঢাকা: বল পিচ হতেই সজরে ব্যাট চালালেন মুশফিকুর রহিম। হাওয়ায় ভেসে বল সীমানা দড়ির ওপারে।

তাবু থেকে এক ছুটে খেলোয়াড়রা মাঠে। ততক্ষণে মুশফিকুর এবং আব্দুর রাজ্জাকও দৌঁড় লাগিয়েছেন। উল্লাসে একাকার হয়ে যায় গোটা স্টেডিয়াম।

জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক মুশফিকুর জেতালেন, প্রয়োজনের চেয়েও বেশি রান তুলে, একবল হাতে রেখে। অতি মানবীয় ইনিংস যাকে বলে মুশফিকুর সেটাই খেলেছেন। প্র্যাকটিসের সত্যিকারের প্রতিফলন দেখালেন খেলায়, এক চার, দুই ছয়ের সাহায্যে ২৬ বলে ৪১ রানের প্রাণবন্ত ইনিংস খেলে।

খেলাটাকে সহজ করে দেন ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন, ১৫ বলে ১৮ রান তুলে। তার আগে তো রানরেট অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। ব্রাফাইটের বলে নাসির আউট হলে শেষ দুই বলে দরকার ছিলো চার রান। কিন্তু মুশফিকুর হিসেব উল্টে দেন ওভারের পঞ্চম বলে রবি রামপালের লেন্থ ডেলিভারিতে থেকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছয় হাঁকিয়ে।

মুশফিকুর সব জিতলেন। প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিং নেন। উইনিং ইনিংস খেলেন। ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন। সত্যিই ভাগ্যবান অধিনায়ক।

দলের ইনিংসের ভিত তৈরি হয় ওপরের ব্যাটসম্যানদের রানে। তামিম ইকবাল ১১ রান নিয়ে আউট হলেও ইমরুল কায়েস ২২ এবং মোহাম্মদ আশরাফুল ২৪ রান করেন। জয়ের ভিত তৈরি হয় ফিল্ডিং এবং বোলিং থেকে। মিস ফিল্ডিং হয়নি। বোলারদের কেউই অতিরিক্ত রান খরচ করেননি। ২০ ওভারের জন্য পাঁচজন বোলার ব্যবহার করেছেন মুশফিকুর। পেসার শফিউল ইসলাম সবচেয়ে ভালো করেছেন। চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন। সমান ওভারে সাকিব আল হাসান ২৫ রান দিয়ে দুটি এবং আব্দুর রাজ্জাক ২৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শেষ জয় পেয়েছিলো এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সে ম্যাচে সাফল্যের নায়ক আশরাফুল ও আফতাব আহমেদ। আশরাফুল ২৭ বলে ৬১ এবং আফতাব ৪৯ বলে ৬২ রান তুলেছিলেন। বাংলাদেশ জিতেছিলো ছয় উইকেটে। মঙ্গলবারও ভালো একটি ইনিংস খেলেছেন আশরাফুল।

ওই জয়ের পর বাংলাদেশ আরো ১২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে একটিতেও জেতেনি। এমন কি খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেনি। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফমেন্সের কারণে আশরাফুলকে তো অধিনায়কত্ব হারাতে হয়েছে।

সব ভুল প্রমাণ করে নির্দিষ্ট দিনের খেলা খেলে বাংলাদেশ ফের জয়ে ফিরলো মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। দেশের মাঠে এপর্যন্ত দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ২০০৬ সালের খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।