ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

অসাধারণ জয় উপহার দিলেন মুশফিক

আহসান হাবিব সম্রাট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১
অসাধারণ জয় উপহার দিলেন মুশফিক

ঢাকা: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এক বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

আগে ব্যাট করে সফরকারীরা আট উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩২ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩২/৮ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৩৫/৭ (১৯.৫ ওভার)
ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী

উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান করেন ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল। ১১ রানে ফিরে যান তামিম ইকবাল। রবি রামপলের বলে তার ক্যাচটি নেন দিনেশ রামদিন। দলীয় ৪৯ রানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অ্যান্থনি মার্টিনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি সীমানার কাছে ডাঞ্জা হায়াটের তালুতে ধরা পড়েন ইমরুল (২২)। অন্যদিকে বোল্ড করে বিনা রানেই সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে দেন মার্লন স্যামুয়েলস।

দলীয় ৫২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ব্রাফেটের বলে মার্টিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অলক কাপালী (২)। সাবলীল খেলছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু লম্বা ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৪ রানে স্যামুয়েলসের বলে মার্টিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। অন্যদিকে নাইম ইসলামের (১০) উইকেট ভেঙ্গে দেন বোলার ড্যারেন স্যামি।

বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে বিদায় নেন নাসির হোসেন। রবি রামপলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি। তবে শেষ মুহুর্তে ঠাসা উত্তেজনায় দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম নিজেই। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে।

২৬ বলে এক ছয় ও দুই চারে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংসটি খেলেন মুশফিকুর। রবি রামপল ও মারলন স্যামুয়েলস প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট দখল করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ড্যারেন স্যামি, অ্যান্থনি মার্টিন ও ব্রাফেট।

এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আদ্রিয়ান বারাথ ও লেন্ডল সাইমন্স। ৪ ওভার শেষেই দলীয় স্কোরে তারা যোগ করেন ২৫ রান। চমৎকারভাবে এ দুইজন ব্যাটসম্যান মোকাবেলা করেছেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও শফিউল ইমলামকে।

জুটি ভাঙ্গতে পঞ্চম ওভারেই স্পিনার নিয়ে আসেন মুশফিক। বল তুলে দেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। অধিনায়ককে হতাশ করেননি এই বাঁহিত স্পিনার। তার বল মারতে গিয়ে মিডঅনে তামিমের হাতে ক্যাচ দেন আদ্রিয়ান বারাথ (১৫)। ব্যক্তিগত ২৩ রানে আব্দুল রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লু’র শিকার হয়ে বারাথের সঙ্গী হন সাইমন্স।

দলীয় ৮৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে নাইম ইসলামের তালুবন্দী হন রাসেল (৫)। স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে ক্রিজে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার পালা চলে। ড্যারেন ব্রাভোকে ব্যক্তিগত সাত রানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রাজ্জাক। একই ভাবে রুবেল ফিরিয়ে দেন ডাঞ্জা হায়াটকে (২)।

অপরদিকে ড্যারেন স্যামিকে (১) নাসিরের ক্যাচে পরিণত করেন নাইম ইসলাম। পরবর্তী উইকেট দুটি শফিউল ইসলামের। শেষ ওভারে বল করতে এসে তুলে নেন মারলন স্যামুয়েলস ও ব্রাফেটকে (১)। সর্বোচ্চ ৫৮ রান এসেছে স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে। আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান ও শফিউল ইসলাম প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও নাইম ইসলাম।

বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাকিব আল হাসান, অলক কাপালি, নাঈম ইসলাম, নাসির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: ড্যারেন স্যামি (অধিনায়ক), আদ্রিয়ান বারার্থ, লেন্ডল সাইমন্স, মার্লন স্যামুয়েলস, ড্যারেন ব্রাভো, ডাঞ্জা হায়াট, দিনেশ রামদিন, আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যান্টনি মার্টিন ও রবি রামপল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘন্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।