ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মহিলা ফুটবল লিগের প্রথম শিরোপা শেখ জামালের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১১
মহিলা ফুটবল লিগের প্রথম শিরোপা শেখ জামালের

ঢাকা: পেশাদার লিগে প্রথমবার খেলতে এসেই শিরোপা জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলা ফুটবলেও বাজিমাত করেছে ক্লাবটি।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত ঢাকা মহানগর মহিলা লিগের ফাইনালে মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারিয়ে মেয়েদের বিভাগেও শ্রেষ্ঠত্ব দেখায় ধানমন্ডির ক্লাবটি।

প্রতিযোগিতার আগের চার ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ৫৯টি গোল দেওয়া শেখ জামাল ফাইনালে মোহামেডানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই সেরার লড়াই বেশ উপভোগ্য হয়। প্রতিপক্ষের চেয়ে সব বিভাগেই শ্রেষ্ঠত্ব ছিলো শেখ জামালের। তবে একটি জায়গাতে সাদা-কালোরা এগিয়ে থাকে। মোহামেডানের গোলপোস্টের নিচে ছিলেন দেশসেরা গোলরক্ষক সাবিনা খাতুন। তাই শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ রচনা করেও সুফল পাচ্ছিলো না কোচ মোশাররফ বাদলের দল।

শেখ জামালকে গোল বঞ্চিত করিছিলো সাবিনার বিশ্বস্ত গ্লাভস জোড়া। ২৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় শেখ জামাল। ফ্রি কিক থেকে নিশানাভেদ করেন ডিফেন্ডার ফারহানা খাতুন। ৪০ মিনিটে নুবাই চিং মারমার শট বারে লেগে প্রতিহত না হলে বিরতির আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারতো।

মোহামেডানের মেয়েরা দ্বিতীয়ার্ধে গোলশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও উল্টো গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে। ৬৪ মিনিটে জালে বল জড়ান জামালের স্ট্রাইকার সাবিনা খাতুন। খেলার বাকি সময় গোল হয়নি।

মোহামেডান কোচ পনিরুজ্জামান বলেন,“আমরা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু রক্ষণের ভুলে প্রথম গোল খেয়েই পিছিয়ে পড়ি। প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিলো। ”

শেখ জামাল কোচ মোশাররফ বাদল বলেন,“আমি নিশ্চিত ছিলাম শিরোপা জিতবো। অভিজ্ঞতার দিক থেকেও আমরা এগিয়ে। মোহামেডান যেখানে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছে সেখানে আমরা খেলেছি চারটি। তবে মোহামেডান বলেই আমরা বড় ব্যবধানে জিততে পারিনি। প্রতিপক্ষ বড় দল বলে মেয়েরা টেনশনে অনেকগুলো সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। ”

প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে শিরোপা তুলে দেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। চ্যাম্পিয়ন দল শিরোপা ও ৫০ হাজার টাকা এবং রানার্স আপ দল ট্রফি ও ৩০ হাজার টাকা পায়।

প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হন মোহামেডানের সুইনু প্রু মারমা এবং ২৫টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন শেখ জামালের সাবিনা খাতুন। এছাড়া প্রতিযোগিতার ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে দিপালী যুব সংঘ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।