ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

টি-টোয়েন্টিতে অনভ্যস্ত, তবু জয়ের আশা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১১
টি-টোয়েন্টিতে অনভ্যস্ত, তবু জয়ের আশা

ঢাকা: খেলা যখন টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ দল তখন ব্যাকফুটে, এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ভার্ষণে এখনো অভ্যস্থ হতে পারেনি বাংলাদেশ।

অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম নিজে থেকে এ কথা বলেছেন।

‘আইপিএল এবং বিগ ব্যাশ যেগুলো হয়, সেখানে আমাদের অনেকে খেলে না। আমরা শেষবার ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। মনে হয় দ্বিতীয় (আসলে হবে প্রথম) টি-টোয়েন্টি হবে। আমরা টেস্ট খুব কম খেলি বলে ১০ বছরে প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছাতে পারিনি। আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতেও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। অনেক বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। ’

বাংলাদেশ যে টি-টোয়েন্টিতে দুর্বল পরিসংখ্যান দেখলেও বোঝা যায়। ১৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে জিতেছে তিনটিতে। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে। ওই সিরিজে ভালো ফল হয়নি। এরপর দেশের ভেতরেও টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হয়নি। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকিদের ২০ ওভারের ম্যাচ খেলার সর্বশেষ অভিজ্ঞতা হলো লাল-সুবুজের প্রস্তুতি ম্যাচ।

সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিটি দেশে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেন তাদের ক্রিকেটাররা। বিগ ব্যাশেও আছেন। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিত উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ থাকে। ঢাকায় আসার পথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে সাবেক ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিন দলটি। প্রথমটিতে হারলেও পরের ম্যাচে জিতেছে। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে যে প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে, সেখানে মারলন স্যামুয়েলস শতক হাঁকিয়েছেন। বোলারদের দাপট কাকে বলে টের পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফিসরা।

উইন্ডিজ দলে পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন যারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর হয়ে। ব্যাটসম্যান আদ্রিয়ান বারাথ, লেনডল সিমন্স, ড্যারেন ব্রাভো, রবি রামপাল এবং দিনেশ রামদিন এখনো সতেজ টি-টোয়েন্টিতে।

বাংলাদেশ যদি নিজেদের সেরাটা খেলতে পারে তা হলে অত অভিজ্ঞতা আটকাতে পারবে না। ক্রিস গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যাদের হারানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের ভয় পাওয়ার তেমন কারণ নেই। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টির প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের উড়িয়ে দিয়েছিলো আশরাফুল বাহিনী। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ২৭ বলে ৬২ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলেছিলেন। মঙ্গলবারের ম্যাচে আশরাফুল থাকছেন। ওয়ান্ডারার্সের সেই ব্যাটিং যদি ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রয়োগ করতে পারেন আশরাফুল, তা হলে খেলার মোড় অন্যদিকে বাক নিতে পারে। অবশ্য ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজে ধাবলধোলাই দিলেও টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে বাংলাদেশ দল।  

তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান তো আছেনই। অলক কাপালিকেও আইসিএলের মারদাঙ্গা ব্যাটিং দেখাতে হবে। তা না হলে যা হওয়ার তাই হবে।

বাংলাদেশ চেষ্টা করছে দেশের মাঠের সবরকম সুবিধা কাজে লাগাতে। দিবারাত্রির খেলা শুরু হবে বিকেল পাঁচটা থেকে। পিচ ঘুমটা পড়ে আছে। অবগুণ্ঠন খুলবে বিকেলে। খেলা দেখা যাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং পাকিস্তান টেলিভিশন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।