ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে দিশেহারা বিসিবি নির্বাচন কমিশন!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে দিশেহারা বিসিবি নির্বাচন কমিশন! সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে দিশেহারা বিসিবি নির্বাচন কমিশন!- ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশানার ওমর ফারুক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই এক সংবাদমাধ্যমকর্মী তাকে প্রশ্ন করলেন, ১৭ অক্টোবর বিসিবি’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হলে বিসিবি’র অন্তবর্তী দায়িত্ব কারা পালন করবেন?

প্রশ্নটির জন্য তিনি যেন প্রস্তুত ছিলেন না। শুধু তিনিই নন, উপস্থিত নির্বাচন কমিশনাররাও হয়তো এমন প্রশ্ন আশা করেননি।


 
ফলে যা হবার তাই হলো। একে অপরের মুখের দিকে তাকানো শুরু করে দিলেন তারা। এক কমিশনার বললেন, ‘এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে লিপিবদ্ধ আছে। ’

 ব্যস, তার কথামতো সবাই গঠনতন্ত্রের পাতা ওল্টাতে শুরু করে দিলেন। কিন্তু উত্তর আর মেলে না। পাতা ওল্টাচ্ছেন আর খুঁজছেন। পাতা কই?
  
এভাবে মিনিট পাঁচেক খোঁজার পর একটি পাতা ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশানার বললেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র অনুচ্ছেদ ১৩ এর ২ এর ‘ঙ’ তে বলা আছে, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে আগের পরিচালনা পর্ষদ নব নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করবে।
 
সাথে সাথে আরেক সংবাদ মাধ্যমকর্মী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘এটা আমাদের প্রশ্ন ছিল না। ’ যেটা ছিল তার সুনির্দিষ্ট উত্তর প্রত্যাশা করছি। ’ 

কিছুটা যেন নড়েচড়ে বসলেন নির্বাচন কমিশনের উপস্থিত সব সদস্য। পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে আবারও দিলেন দায়সারা জবাব, ‘আসলে আমরা,নির্বাচন কমিশন, চিন্তা করছি নির্বাচন নিয়েই। এখন কমিটির মেয়াদ কী থাকবে সেটা সংবিধানে বলা আছে। আমরা দেখে উত্তরটা দিচ্ছি। কিন্তু আমর নির্বাচন নিয়েই ভাবছি। ’ 

সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নবাণ এড়াতে এক নির্বাচন কমিশনারতো বলেই বসলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যেভাবে এজাতীয় বিষয়ের নিষ্পত্তি হয়, এটাও ঠিক সেভাবেই হবে। ’ 

তাদের কাছে আবার সংবাদকর্মীদের জিজ্ঞাসা: ‘বিসিবি’র নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের ফরম্যাট! এটা কীভাবে সম্ভব? যেখানে খোদ আইসিসি নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছে সেখানে কীভাবে এটা হতে পারে?’ 

এবার রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন সেই কমিশনার। অবশেষে জবাবটা এল কমিশনারদের পাশে বসা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একান্ত সহকারি মোহাম্মদ তৌহিদের কাছ থেকে। তার পরামর্শক্রমেই অবশেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন ‘একজন নন ইলেক্টেড পারসন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অন্তবর্তী এই দায়িত্ব পালন করবেন। মানে বিসিবি’র বর্তমান সিইও। ’

তার এই উত্তরের মধ্য দিয়েই দশ মিনিটের অস্বস্তি থেকে রেহাই মিললো বিসিবি’র নির্বাচন কমিশনের। ছেকে ধরা সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নবাণ থেকে যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তারা।

** বিসিবি নির্বাচন ৩১ অক্টোবর

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এইচএল/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।