ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

চোট সমস্যায় সাহাদাত

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১০
চোট সমস্যায় সাহাদাত

ঢাকা: পায়ে স্যান্ডেল। থ্রি-কোয়ার্টার ট্রাউজারের সঙ্গে একটি টি শার্ট পড়ে ইনডোর থেকে মাঠের ভেতর দিয়ে সাজঘরের দিকে যাচ্ছিলেন সাহাদাত হোসেন।

বোঝা গেলো কিছু একটা হয়েছে। কাছে যেতেই সাহাদাত নিজে থেকেই জানালেন পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা পেয়েছেন।

অনেকেই আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলেন কবে, কখন, কিভাবে হলো এমন ঘটনা? আঁতকে উঠার মতো পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু কবে, কখনের উত্তর এলো ভারতের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচ খেলার সময় চোট পেয়েছেন জাতীয় দলের এই পেসার।

সাত মাস আগের কথা। এ বছর ২৪ জানুয়ারি থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চোট পেয়েছেন সাহাদাত। পুরনো সেই চোট না সারিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ইংল্যান্ড সফরে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম উঠিয়েছেন। দেখে বোঝার উপায়ই ছিলো না চোট নিয়ে বোলিং করেছেন সাহাদাত।

দলের চিকিৎসক এবং ফিজিওকে দেখিয়েছেন ফোলা আঙ্গুল। ব্যথা হলেই ঔষুধ সেবন করেছেন। এখন ব্যথা অনেক। ছোট আঙ্গুলটা ফুলে ঢাউস হয়েছে।

সাহাদাত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানালেন আঙ্গুলটার টিস্যু ছিড়ে গেছে, তাই এ অবস্থা। ভলো হতে বিশেষ ধরণের ইজনেকশন দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী। আরো একটি ইনজেকশন নিতে হবে। বলেন,“দুটো ইনজেকশন নেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি না হলে অস্ট্রেলিয়াতে চিকিৎসা নিতে যাবো। বোর্ড থেকেই পাঠাবে। ”

অপারেশন করাতে হলে বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সাহাদাত বলেন,“বিশ্বকাপই তো সব নয়। আগে শরীর ঠিক করতে হবে। সামনে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে। ”

চোটের কারণেই বলের গতি কমে গেছে। জোর দিয়ে বল ছাড়তে পারেন না বলেও দাবি করেন সাহাদাত। এতে লাইন লেন্থ ঠিক রাখতেও সমস্যা হয় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে তিনি বলেন,“সাহাদাতের পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের দুই দিকের ছোট টিস্যু আধা-আধা ছিড়ে গেছে। আপাতত ঔষুধের দ্বারা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ”

ঔষুধে কাজ না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করেন দেবাশিস। তার মতে,“অস্ত্রোপচার করালে আঙ্গুলের চোট হয়তো সারানো সম্ভব। তবে দৌঁড়ের সময় বাঁকা করে পা ফেললে সমস্যা আরো বাড়বে। ”

স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের দৃষ্টিতে,“সাহাদাতকে আগে স্টেপিং ঠিক করতে হবে। দৌঁড়ানোর সময় সোজা করে পা ফেললে খুব একটা সমস্যা হবে না। ”

পায়ের আঙ্গুলে চোট থাকলেও অনুশীলনে অংশ নিতেই হচ্ছে জাতীয় দলের এই পেসারকে। দৌঁড় ঝাপ না করলেও জিমনেসিয়ামে ওজন তুলছেন সাহাদাত।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘন্টা, আগস্ট ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।