মুম্বাই: ঠিকানা পবির্তন করেছেন ভারতের ব্যাটিং জিনিয়াস শচীন টেন্ডুলকার। মুম্বাইয়ের লেমার অ্যাপার্টমেন্টের পুরাতন বাড়ি ছেড়ে একই নগরের বান্দ্রার প্যারি ক্রস রোডের নতুন বাংলোতে উঠেছেন লিটলমাস্টার।
স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ের পার্সি ভিলা ২০০৭ সালে ৩৯ কোটি রূপি দিয়ে ক্রয় করেন শচীন। এরপর পুরাতন এই প্যালেস সংস্কার করতেও সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে ৯৯টি শতকের মালিক।
শচীনের নতুন বাড়ির প্রথম ফ্লোরে আছে দুটি বড় অতিথি কক্ষ ও তাদের বসার বিশাল জায়গা। দ্বিতীয় ফ্লোরে মাস্টার বেডরুম ও শচীনের ছেলে-মেয়েদের থাকার ঘর। তৃতীয় ফ্লোর অর্থাৎ টপ ফ্লোরে রয়েছে সুইমিং পুল। মূলত পাঁচতলা বিশিষ্ট এই বাড়ির প্রায় দুটি ফ্লোর রাখা হয়েছে বেইজমেন্ট হিসেবে। এখানে থাকবে নিপরাত্তা, গাড়িপার্কিং ও অন্যান্য আধুনিক সুবিধা।
এবিষয়ে শচীন বলেন,“আমি নতুন বাড়িতে উঠছি। আশা করি, নতুন ঠিকানাতেও পরিবার নিয়ে আনন্দেই থাকবো। লেমার অ্যাপার্টমেন্টে (পুরাতন বাড়ি) আমি থাকতাম খেলাধুলার কোটায়। অনেক খেলোয়াড়েরই প্রয়োজন আছে এখানে থাকার। তাই আমি অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
একনজরে শচীনের নতুন বাড়ি:
১.বাড়ির নকশার মাধ্যমে ফুটে উঠবে গাড়ি ভালোবাসেন শচীন। দ্বিতীয় বেইজমেন্টে একসঙ্গে পার্ক করা যাবে ৪৫ থেকে ৫০টি গাড়ি।
২.প্রথম বেইজমেন্টে আছে রান্নাঘর, মাস্টার বেডরুম এবং সেবক-সেবিকাদের থাকার ঘর। এরই সঙ্গে যুক্ত থাকবে অন্যান্য তিনটি ফ্লোর যেখানে থাকবে শচীন, তার স্ত্রী ও সন্তানেরা।
৩.গ্রাউন্ডের ফ্লোর রয়েছে বৃহৎ ড্রইং রুম। এখানে শচীনের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা খাবার ঘর, একটি মন্দির ও বিভিন্ন সময়ে পাওয়া তার পুরস্কারগুলো রাখার কক্ষও।
৪. প্রথম ফ্লোর হচ্ছে তার সন্তানদের জন্য। এখানে ছেলে অর্জুন ও কন্যা সারার জন্য আছে আলাদা কক্ষ। আর টপ ফ্লোরেই থাকবেন শচীন ও তার স্ত্রী অঞ্জুলি।
৫. টপ ফ্লোরে আরও থাকবে সুইমিং পুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৬০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১