ঢাকা: অনেক দিন ধরে ইমরুল কায়েসের মুখ ভার। অভিমান হয়নি, তবুও মুখখানা গোমড়া দেখায়।
চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে লাল দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। একটা লম্বা সময় পরে রানে ফেরা। ১৩৩ বলে ১৪টি চার ও একটি ছয়ের মার দিয়ে ইনিংস সাজিয়েছেন ইমরুল। সুখের মুহূর্তে না হাসলে হয়। আনন্দ হলে তো মানুষ এমনি এমনি হাসে। ইমুরুলও তো স্বস্তির কথা বলেছেন,“খারপ সময় যাচ্ছিলো। একটা ভালো ইনিংসের অপেক্ষায় ছিলাম। এই ইনিংসটি আমাকে ভালো খেলতে সাহায্য করবে। যদিও একদিন খেললেই হবে না। প্রতিদিনই ভালো খেলার চেষ্টা করতে হবে। ”
প্রস্তুতি ম্যাচ শুরুর আগে দলের নবীন সদস্য নাসির হোসেন ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্যও ব্যাখ্যা করে ছিলেন। শুধু ওয়ানডেতে নয় টেস্ট ক্রিকেটেও খেলার ইচ্ছে। ১৯ বছর বয়সী লাল দলের এই অলরাউন্ডার ৪০ রানে অপরাজিত আছেন। রানের চেয়ে সাতটি বল বেশি খেলেছেন নাসির। বেশি উচিয়ে উচিয়ে খেলেননি। বল নিচে রাখার চেষ্টা করেছেন। যদিও একবার স্প্যাম্পিংয়ের হাত থেকে বেচে গেছেন তিনি।
এছাড়া জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত রান উল্লেখ করার মতো নয়। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ২০ এবং সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ ২১ রানে আউট হয়েছেন। প্রথমজন অফ স্পিনারের ইলিয়াস সানির কাছে আর দ্বিতীয় জন লেগ স্পিনার তানভিরের বলে আউট হয়েছেন। সোহরাওয়র্দী আউট হয়েছেন ১২ রান করে। লাল দল ২১৫ রান করেছে সাত উইকেটে ৫৪ ওভার খেলে।
ইমরুলের মতো সবুজ দলের সাহাদাত হোসেনের জন্যও স্বস্তির বাতাস বইছে। জাতীয় দলের এই পেসার তিনটি উইকেট নিয়েছেন। তামিম, ইমরুল, শোভাগত হোমকে আউট করেছেন তিনি। যদিও ৯ ওভারে ৫২ রান দিয়েছেন। তিনি বলেন,“ওয়ানডেতে খুব ভালো বোলিং হয়নি। তবে টেস্টে তো অনেক ওভার বল করা যায়। আমি নিশ্চিন্তে বল করেছি। উইকেট পেয়ে ভালো লাগছে। ”
এর আগে সবুজ দলকে ২৮১ রানে অল-আউট করে দেয় লাল দল। নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরি করা হয়নি। আগের দিনের ৯৫ রানের সঙ্গে কোন কিছু যোগ হয়নি। তবে খেলার দ্বিতীয় দিন সকালে পাঁচটি বল মোকাবেলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১