ঢাকা: পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি নাঈম ইসলাম। চেষ্টা করলে সেঞ্চুরি হয়ে যাবে।
সবুজ দলের অপরাজিত এই ব্যাটসম্যান অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছেন, ৩৩৪ মিনিট, ২৮৯ বল ও ৯৫ রান। লাল দলের পেসার শফিউল ইসলাম পর্যন্ত নাঈমের উচ্ছসিত প্রসংশা না করে পারেননি। “খুবই ভালো একটি ইনিংস খেলেছেন নাঈম ভাই। আমাদেরকে কোন সুযোগই দেননি। ”
একজন ব্যাটসম্যান কতটা ধৈর্য্ দেখালে বোলাররা তাকে আউট করার সুযোগ পায় না। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অতটা ধৈর্য দেখা যায় না। বরং অতিমাত্রায় শট খেলার বদনাম আছে। সেখানে নাঈমের এই ধৈর্যশীল ইনিংস দেখার পর সবুজ দলের অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিসের মুখেও প্রসংশা,“নাঈম খুবই ভালো একটি ইনিংস খেলেছে। ওর ইনিংস থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। টেস্টে কিভাবে বড় ইনিংস খেলতে হয় সে আমাদেরকে শেখালো। সে রান করেছে ৯৫ কিন্তু বল খেলেছে ২৮৯টি। বলের জায়গাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ”
মমিনুল হক দর্শনীয় কিছু শট দিয়ে ৮৯ বলে ৭২ রান করেছেন। তিনি নাঈমের অর্ধেক সময় ক্রিজে থাকলেও ব্যাটে-বলের সংযোগ রেখেছেন। ১১ বার বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে সীমানা দড়ির বাইরে বল আছড়ে ফেলেছেন তিনবার। যদিও মমিনুলের চারদিনের ম্যাচে খেলার কথা নয়। তাকে তো কোন দলেই রাখা হয়নি। সৈয়দ রাসেল চোট পাওয়ায় তাকে দলে নেওয়া হয়। আরেকজন লেগ স্পিনার নূর হোসেন মুন্নাও চোট পেয়েছেন এবং তার পরিবর্তে একাডেমি দল থেকে নেওয়া হয়েছে লেগস্পিনার তানভীর হায়দারকে।
দিন শেষে সবুজ দলের ইনিংস শক্ত ভীত পেয়েছে। ছয় উইকেটে ২৫৪ রান। অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস ইনিংস সম্পর্কে বলছিলেন,“প্রথম সেশনে আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম। কিন্তু পরের দুই সেশন আমাদের আধিপত্য ছিলো। সব মিলিয়ে বলবো আমরা ভালো একটা জায়গায় আছি। ”
যদিও দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস (০) এবং জুনায়েদ সিদ্দিক (১০ রান) ভালো করতে পারেননি। অলক কাপালী ২৯ রানের ইনিংস খেলে অফ স্পিনার নাসির হোসেনের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১১