ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

জাতীয় লিগে ক্রিকেটার নেই!

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১
জাতীয় লিগে ক্রিকেটার নেই!

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘরে ঘরে ক্রিকেটার চেয়ে আবেদন করতে পারে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার মতো সহজ পথও বেছে নেওয়া যায়।

বিজ্ঞাপনের ভাষা হতে পারে ‘প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার চাই’।

আসলে জাতীয় লিগের জন্য ক্রিকেটার খুঁজে পাচ্ছেন না জাতীয় দল নির্বাচকরা। অনেক চেষ্টা করেও মোটামুটি মানের দল গড়া সম্ভব হচ্ছে না। যাদের জন্য প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট বেশি প্রয়োজন বরাবরের মতো বর্তমান মৌসুমেও খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।

জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যথারীতি ব্যস্ত থাকবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে। অক্টোবরে ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রা যাবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। একাডেমির বিদেশ সফর বাতিল হলে কেবল তাদেরকে পাওয়া যাবে জাতীয় লিগের জন্য। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল থেকে কয়েকজনকে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করা হতে পারে। অতএব বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এবিষয়ে নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর আক্ষেপ করে বলেন,“যে ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকতে হবে আমাদের ক্রিকেটারদের জাতীয় লিগ হবে কি করে। একটি দলের জন্য ১৫ জন করে ক্রিকেটারই তো পাচ্ছি না। বুঝতে পারছি না কি হবে। ”

আগে জাতীয় লিগের দল ছিলো ছয়টি। সেখানে চলতি মৌসুম থেকে জাতীয় লিগে খেলবে আটটি দল। রংপুর বিভাগ এবং ঢাকা মহানগরকে জাতীয় লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৫ জন করে হলেও আট দলের জন্য ১২০ জন  ক্রিকেটার লাগবে। ২০ জন করে হলে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬০ জনে। এত বেশি সংখ্যক প্রথমশ্রেণীর ক্রিকেটার পাওয়া প্রায় অসম্ভব।

টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন জোয়ার্দার চিন্তায় পড়ে গেছেন মানসম্পন্ন ক্রিকেটার না থাকায়। সঙ্গে মাঠের অপ্রতুলতাও ভাবাচ্ছে তাকে। বলেন,“একটি ম্যাচ দুই দিনে শেষ হয়ে যাবে এমন ক্রিকেটার দিয়ে তো জাতীয় লিগ হতে পারে না। তা হলে মানুষজন আমাদেরকে গালি দিবে। মাঠও তো পাবো না। সিলেট এবং বগুড়া স্টেডিয়াম ছাড়া ভালো মাঠ কোথায়। ”

এবারের জাতীয় লিগের ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রাজশাহী, বগুড়া, বিকেএসপি, সিলেট ও যশোর  স্টেডিয়ামকে। খেলা হবে দুই ধাপে। প্রথম পর্বে প্রতিটি দল একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল ২০১২ সালের মার্চে খেলবে সুপার লিগে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল নিয়ে হবে পাঁচদিনের ফাইনাল ম্যাচ। তবে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ যাওয়া চার দলের মধ্যে তিন দিনের ম্যাচ করার প্রস্তাবনাও আছে।

অক্টোবরের ১৬ বা ১৮ তারিখ থেকে জাতীয় লিগের খেলা শুরুর কথা। টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু অসুস্থ হওয়ায় রোববার সভায় হয়নি। কবে থেকে জাতীয় লিগ শুরু করা যাবে তা জানতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।