কলকাতা: নবাব চলে গেলেও রেখে গেলেন তার সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয়। মোটরগাড়ির দুর্ঘটনায় মনসুর আলি খান পাতৌদি হারিয়েছিলেন তার ডান চোখটি।
এই চক্ষুদানের ইচ্ছা এক সপ্তাহ আগে জানিয়েছিলেন তার প্রিয় আয়েশা সুলতানাকে। আয়েশা ওরফে শর্মিলা ঠাকুর তা চিকিৎসকদের জানান। নবাবের মৃত্যুর একঘণ্টা পর তার বাম চোখটিকে সংরক্ষিত করা হয়।
পাতৌদির চোখটি দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির বেনু আই ইনস্টিটিউটে। ২০০১ সাল থেকে ওই সংস্থাটির ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন টাইগার।
নবাব তার ডান চোখটি হারিয়েছিলেন ১৯৬১ সালের ১ জুলাই যুক্তরাজ্যের হোভে’তে। তিনি তখন খেলতেন অক্সর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয় দলে। সার্সের বিরুদ্ধে খেলার পর সতীর্থ ক্রিকেটার বন্ধুদের নিয়ে খাবার খেতে যান পাতৌদি। সেখান থেকে গাড়িতে ফিরছিলেন হোটেলে। মোটরের সামনের সিটে বসে ছিলেন তিনি।
আচমকাই উল্টো দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। খুব বড় দুর্ঘটনা না হলেও গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে তার হাতে লেগেছিল।
হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর পাতৌদিকে বলা হয় তার ডান চোখে অস্ত্রপোচার করতে হবে। তা শুনে অবাক হয়েছিলেন। কারণ, তার চোখে কোনও যন্ত্রণাই ছিলো না।
চিকিৎসকরা বলেছিলেন, গাড়ির কাচের টুকরো তার ডান চোখে ঢুকেছে। অস্ত্রপোচারের হলে চোখের মনি হারিয়েছিলেন টাইগার।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১১