ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

এমিলি-মিথুনকে বাফুফের জরিমানা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১১
এমিলি-মিথুনকে বাফুফের জরিমানা

ঢাকা: শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও খ্যাপ খেলার অভিযোগে জাতীয় দলের তিন ফুটবলারকে শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। খেলোয়াড়রা হলের জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরি ও জাহিদ হোসেন।

তাদেরকে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় কয়েকটি ম্যাচ নিষিদ্ধসহ জরিমানা করা হয়।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বে লেবাননের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে মানিকগঞ্জে স্থানীয় প্রতিযোগিতায় খ্যাপ খেলতে যান দুই স্ট্রাইকার এমিলি ও মিঠুন। ২০ জুলাই নিজেদের পরিচয় গোপন করে পৌর একাদশের হয়ে খেলেন জাতীয় দলের এই দুই ফুটবলার।

জাহিদ হোসেনের বিপক্ষে অবশ্য অভিযোগ ভিন্ন। লেবাননের বিপক্ষে ঢাকায় হোম ম্যাচে প্রথমার্ধেই মাঠ  থেকে তুলে নিয়ে বদলি হিসেবে শাকিলকে মাঠে নামানোয় কোচের ওপর ক্ষিপ্ত হন এই মিডফিল্ডার। মাঠ থেকে বেরোনোর সময় কোচের সামনেই পানির বোতলে লাথি মেরে সেটার বহি:প্রকাশ ঘটান। যেটাকে সুনজরে নেয়নি বাফুফে। তাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। পরে এমিলি, মিঠুন ও জাহিদকে শোকজ করে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। তিন ফুটবলারই নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ফুটবলারদের সতর্ক ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। এমিলি ও মিঠুনকে দুইলাখ টাকা করে জরিমানা ও ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ করে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। জরিমানা অনাদায়ে উভয়কে আরো তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে জাহিদকে একলাখ টাকা জরিমানা ও দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি। তিন ফুটবলারকেই নভেম্বরের মধ্যে ফেডারেশনে জরিমানার অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে তাদের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের অবহিত করেন কমিটির সভাপতি বাদল রায়। বলেন,“এমিলি ও মিঠুনের বিপক্ষে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিলো। কিন্তু লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সেটা করা যায়নি। অভিযুক্ত সবাইকে আজীবন নিষিদ্ধ করা উচিত ছিলো। কিন্তু এরা দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। মিঠুন উঠতি স্ট্রাইকার। অন্যদিকে এমিলি জাতীয় দলের জন্য এখনো অপরিহার্য। তাদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করেই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ”

এক প্রশ্নের জবাবে বাদল রায় বলেন,“ওই ফুটবলারদের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আমরা বাফুফে সভাপতিকে অবহিত করেছি। তিনি আমাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। অভিযুক্তরা এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপিল করতে পারবে না। ”

জাতীয় দলের ম্যাচ হওয়ায় ওই তিন ফুটবলারকে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় কেন নিষিদ্ধ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বলেন,“আমাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্লাবগুলো এখন ওই তিন ফুটবলারের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে। ক্লাবের পারফরমেন্স দিয়েই এরা জাতীয় দলে আসেন। ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়ায় এদের থেকে পুরো সার্ভিস পাবে না। অন্যদিকে ক্লাবগুলোও ফুটবলারদের শৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে। ”

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ দল ২৩ জুলাই লেবাননের বিপক্ষে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়। ২৮ জুলাই ঢাকায় ফিরতি ম্যাচে অবশ্য প্রতিশোধ তুলে নেয় বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে লেবাননকে ৩-০ গোলে হারায়। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে পরবর্তী পর্বে উন্নীত হয় লেবানন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।