ঢাকা: সার্বিয়ার কাছে অঘটনের শিকার তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে তারা।
পিছিয়ে পড়ার আগেই দশজনের দলে পরিণত হয় জার্মানি। পরপর দুই হলুদ কার্ড দেখে ৩৭ মিনিটে ম্যাচ থেকে বহিস্কার হন ২০০৬ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা মিরোস্লাভ কোসা।
অবৈধভাবে খেলায় কোসা কেবল একাই শাস্তি পাননি, দলকেও ঠেলে দিয়েছেন বিপদের মুখে। তার বিদায়ের পর ১০ জনকে নিয়ে কিছুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছিলো না বেকেনবাওয়ারের দল। তারপরও ৬১ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন পোডোলস্কি।
বুন্দেস লিগায় খেলা সার্বিয়ার অধিকাংশ খেলোয়াড় জার্মানদের ফুটবলের ভাষার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচিত। বিশ্বকাপে সুযোগ কাজে লাগানো খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু পেশাদার জর্মান খেলোয়াড়রা তাদের অভিজ্ঞতা মেলে ধরতে পারেনি। উল্টো মেজাজ হারিয়ে বিপদ ডেকে এনেছে।
পোর্ট এলিজাবেথের নেলসন ম্যান্ডেলা স্টেডিয়ামে খেলার শুরুটা ভাল না হলেও ধীরেই ছন্দে ফিরতে চেষ্টা করে উভয় দল। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে মিরোস্লাভ কোসা প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান। কিন্তু জার্মান সমর্থকদের উচ্ছ্বাস থেমে যায় অফসাইডের অযুহাতে রেফারি গোল বাতিল করায়।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার ঠিক একমিনিটের মধ্যেই জার্মানদের আসল ধাক্কাটা দেয় সার্বরা গোল করে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
বিরতির পর গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে জার্মানরা। একের পর এক আক্রমণ রচনা করে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ তছনছ করে। ৫৮ মিনিটে লুকাস পোডোলস্কি একাই বাম প্রাপ্ত দিয়ে হানা দেন সার্বদের রক্ষণভাগে। লক্ষ্যভ্রষ্ট শট থেকে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয় জার্মানরা।
এর তিন মিনিট পরই পেনাল্টি পায় তারা। তারপরেও ভাগ্য ফেরাতে পারেনি জার্মানি। পোডোলস্কির শট থামিয়ে দেন সার্ব গোলরক্ষক ভ্লাদিমির স্তোকোভিচ। জার্মানদের বুঝতে বাকি থাকে না তাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ম্যাচ।
উল্টো ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার চমৎকার সুযোগ হারায় সার্বরা। ৬৭ মিনিটে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে একটি শট। ক্রস পিস ঘেষে অন্তত আরো দু’বার বল চলে যায় সীমানার বাইরে। জার্মান শিবির শেষপর্যন্ত চেষ্টা করে একটি গোল বাগাতে না পারায় বিজয়ের হাসি হাসে সার্বরাই।
প্রথম ম্যাচে ঘানার কাছে ১-০ গোলে হারলেও দ্বিতীয় জয়ে শীর্ষ ষোলতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখলো সার্বিয়া। দুই ম্যাচ থেকে জর্মানদের সংগ্রহও তিন পয়েন্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিলো তারা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২১৩৭ ঘ. ১৮ জুন, ২০১০
সিজি/এসএ