ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

প্রমীলা ক্রিকেটকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাবেন কোচ মমতা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১১
প্রমীলা ক্রিকেটকে বিশ্বকাপে নিয়ে যাবেন কোচ মমতা

ঢাকা: বিমানবন্দর থেকে সোজা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) চলে আসেন প্রমীলা জাতীয় ক্রিকেট দলের ভারতীয় কোচ মমতা মাবেন। ‘মহিলা বিভাগ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য কথাবার্তা সেরে ই-মেইলে বার্তা লিখে দেশে আত্মীয়স্বজনকে জানিয়ে দেন তিনি নিরাপদে নতুন কর্মস্থলে পৌঁছে গেছেন।



স্মার্ট শব্দটি প্রমীলা জাতীয় দলের এই নতুন কোচের সঙ্গে বেশ যায়। চটপটে স্বভাবের মেহতা অল্প সময়ের জন্য অনেক বড় পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রমীলা জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন। আপাতত মাসে আড়াই হাজার ডলার বেতনে তিন মাসের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে জাতীয় দলের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে তাকে রাখা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশ্য মমতা মাবেন তিন মাসের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশকে শীর্ষ চারে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ভারতীয় এই কোচ। বৃহস্পতিবার তিনি বাংলানিউজকে বলেন,“এখনো যথেষ্ট সময় হাতে আছে। ১৪ নভেম্বরের আগে আমি বিশ্বাস করি একটি দলকে ভালো ভাবে তৈরি করা সম্ভব। আমি ম্যাচ প্র্যাকটিসের ওপর গুরুত্ব দেবো। এই মুহূর্তে টেকনিক নিয়ে ব্যস্ত হতে চাই না। খেলার আগে অনেকগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ পাওয়া যাবে। আমার বিশ্বাস চেষ্টা করলে বাংলাদেশ দল শীর্ষ চারে যেতে পারবে। ”

ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক এশিয়ান গেমসে স্বাগতিক চীনের কোচ ছিলেন। গেমসে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখে ভালো লেগেছে বলে জানান তিনি,“বাংলাদেশ দল সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই। এশিয়ান গেমসে যেটুকু দেখেছি তাতে মনে হয় এখানকার ক্রিকেটারদের মেধা আছে। এই সময়ের মধ্যে নিশ্চয়ই আরো উন্নতি করেছে দলটি। ”

ক্রিকেট পছন্দ এমন একটি দেশের কোচ হতে পেরে খুশি মাবেন,“চীনের কোচ হয়ে অল্প কিছুদিন কাজ করেছি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অনুরোধে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আমাকে সেখানে দায়িত্ব দেয়। চীন তো ক্রিকেটে বাংলাদেশের মতো না। এখানে ক্রিকেট উপভোগ করে মানুষ। বাংলাদেশে কাজ করতে অনেক ভালো লাগবে আমার। ”

চীনে কোচিং করানোর সময় ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে মাবেনকে। বাংলাদেশে তেমন সমস্যা হবে না বলেও খুশি তিনি,“বাংলা এবং হিন্দী ভাষার শব্দগুলো কাছাকাছি। বুঝতে এবং বলতে সমস্যা হবে না। আমি কিছু বাংলা শব্দ শেখার চেষ্টা করছি। ”

মাবেনের মতে ক্রিকেট টেকনিক্যাল এবং ট্যাকটিক্যাল খেলা। এখানে বড় শরীরের চেয়ে শারীরিক সক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিয়ে যেতে কোন সমস্যা হতে না বলেই মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।