ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

‘পুনের পিচ নিকৃষ্ট মানের’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
‘পুনের পিচ নিকৃষ্ট মানের’ পুনেতে অনুষ্ঠিত ভারত ও অস্ট্রেরিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্টের পিচ ছিল নিকৃষ্ট মানের!/ছবি: সংগৃহীত

পুনেতে অনুষ্ঠিত ভারত ও অস্ট্রেরিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্টের পিচকে ‘বাজে’ রেটিং দিয়েছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। তৃতীয় দিনেই খেলার নিষ্পত্তি ঘটে। ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩১টিই দখল করেন স্পিনাররা।

ঘরের মাঠে নিজেদের পাতানো ফাঁদেই অজিদের কাছে ধরাশায়ী হয় টিম ইন্ডিয়া। একাই ১২টি উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন ম্যাচ সেরা স্টিভ ও’কিফ।

স্পিনবান্ধব উইকেটে অলআউট হয় ১০৫ ও ১০৭ রানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১২! হোম টেস্টে এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।

ভারতের মাটিতে টানা সাতটি টেস্টে হারের পর ৩৩৩ রানের উড়ন্ত জয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতে স্মিথ-ওয়ার্নাররা। চার ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট বেঙ্গালুরুতে ৪ মার্চ (শনিবার) থেকে। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়।

...আইসিসি পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়ার ধারা-৩ অনুযায়ী, পিচের মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইসিসির কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ব্রড। আইসিসি ম্যাচ রেফারির রিপোর্টটি বিসিসিআই’র (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) কাছে পাঠিয়েছে। ১৪ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।

আইসিসি ক্রিকেটের জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস ও এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারির সদস্য রঞ্জন মাদুগালে বিসিসিআইয়ের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা এবং ম্যাচের ফুটেজ বিশ্লেষণ করবেন। পুনের পিচ নিকৃষ্ট মানের ছিল কিনা তা এই প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে।

...প্রথমবার পিচ নিকৃষ্ট বিবেচিত হলে শাস্তির ক্ষেত্রে যেখানে প্রথমবারের মতো টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করেছে পুনে। ধারা-৪ অনুযায়ী, উপযুক্ত সংশোধনী পদক্ষেপের একটি নির্দেশনার জন্য অফিসিয়াল সতর্কতা অথবা অনধিক ১৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা।

আইসিসি পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিং প্রসেস অনুযায়ী, নিম্নোক্ত কারণে পিচ বাজে বলে বিবেচিত হয়:

•    ম্যাচের যেকোনো মুহূর্তে পিচে অত্যধিক টার্ন (সিম মুভমেন্ট)।

•    ম্যাচের যেকোনে পর্যায়ে যেকোনো বোলারের ক্ষেত্রে বাউন্সি ডেলিভারিতে অত্যধিক অসমতা।

•    পিচ থেকে স্পিন বোলারদের অতিরিক্ত সহায়তা পাওয়া, বিশেষ করে ম্যাচের শুরুর দিকে।

•    ম্যাচের যেকোনো স্টেজে তুলনামূলক কম অথবা একেবারেই সিম মুভমেন্ট না থাকা। উল্লেখ্যযোগ্য বাউন্সের ঘাটতি বা এমন ডেলিভারি দিতে না           পারা। অর্থাৎ, ব্যাট ও বলের নিরপেক্ষ লড়াই থেকে বোলারদের বঞ্চিত রাখা।

বাংলাদেশস সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম

আরও পড়ুন... ২৭ বছর পর ভারতের এমন ধস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।