ঢাকা: শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় শাস্তি পেতেই হচ্ছে জাতীয় দলের তিন ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি, মিঠুন চৌধুরী ও জাহিদ হোসেনকে। শাস্তির ধরণ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন,“তিন ফুটবলার যা করেছে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরবর্তী প্রজন্মকে সতর্ক করতে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। তবে শাস্তি দিতে হবে বুঝে-শুনে। ”
ফুটবলার সঙ্কটের কারণে তাদের জাতীয় দলে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন খোদ বাফুফে সভাপতি। কারণ ডিসেম্বরে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিতে অক্টোবরে জাতীয় দলের ক্যাম্প করার কথা বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। এদিকে ফুটবলারদের জন্য বাফুফের বেতন অবকাঠামো না থাকায় আর্থিক দ-ও দেওয়া যাচ্ছে না।
জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় বলেন,“শাস্তি কি হবে সেটা এখনই জানাতে পারছি না। কমিটির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবো। ”
বিশ্বকাপ প্রাক বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে লেবানন যাওয়ার আগের দিন ক্যাম্পে ছুটি পেয়ে মানিকগঞ্জে খ্যাপ খেলতে যান দেশসেরা দুই স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি ও মিঠুন চৌধুরী। লেবাননের বিপক্ষে ঢাকায় হোম ম্যাচের প্রথমার্ধে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পানির বোতলে লাথি মারেন জাহিদ। তিন ফুটবলারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। ক্ষমা চেয়ে তারা চিঠিও দিয়েছেন বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১১