হারারে: বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে ব্যাট করছে দ্বিতীয় ইনিংসে। চার উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৯২ রান।
৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন টাটেন্ডা টাইবু। অপর প্রান্তে শূন্য রানে অপরাজিত আছেন ব্রেন্ডন টেলর।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৯২/৪ (৩৪ ওভার), প্রথম ইনিংস: ৩৭০
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৮৭ (৯৬.২ ওভার)
দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার টিনো মাওয়া ও ভুসি সিবান্দা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৯ রান। রুবেল হোসেনের বল পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে শফিউল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন ভুসি। তার ৩৮ রানের ইনিংসে তিনটি চার ও একটি ছক্কার মার ছিলো।
ভুসির বিদায়ের পরই বাংলাদেশি বোলাদের তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিকরা। ওপেনার টিনো মাওয়াকে (৩৫) সরাসরি বোল্ড করেন রবিউল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানো হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (৫) ফিরতে দেন সাকিল আল হাসানের হাতে। ব্যক্তিগত ৪ রানে আব্দুল রাজ্জাকের এলবিডাব্লু’র ফাঁদে পড়েন রে প্রাইস। পরে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৭৫ রানে এগিয়ে থেকে দিনের খেলা শেষ করে।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে তিন উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিতই দিচ্ছেলেন আশরাফুল ও মাহামুদউল্লাহ। কিন্তু তাদের পরিকল্পনায় বিঘœ ঘটান বোলার ব্রেইয়ান ভিটোরি। মাহামুদউল্লাহকে ফাঁদে ফেলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে রেখেছিলেন এই বোলার। ব্যক্তিগত ১৩ রানে সে ফাঁদে আটকা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ভিটোরির বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন টিনো মাওয়ার হাতে।
অপরপ্রান্তে মাথা নিচু করে খেলেন বহুদিন পর ফর্মে ফেরা আশরাফুল। বেশ কয়েকটি জুটি গড়ে নিজেকে নতুন করে চেনালেন তিনি। তৃতীয় উইকেটে শাহরিয়ার নাফিসের সঙ্গে ৬৬ ও চতুর্থ উইকেটে মাহামুদউল্লাহর সঙ্গে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সাজঘরে ফেরার আগে পঞ্চম উইকেটে করেন ৫৪ রানের জুটি।
হঠাৎ ধৈর্য চ্যুতি ঘটে আশরাফুলের। এল্টন চিগুম্বুরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের মারকাটারি এই ব্যাটসম্যান। সাজঘরে ফেরার আগে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৩ রান করেন তিনি।
শাহরিয়ার নাভিস ৫০ রানে রে প্রাইসের বলে বোল্ড হওয়ার দলের ধরেন আশরাফুল। তার বিদায়ের পর রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক সাকিল আল হাসান। কিন্তু ক্রিস এমপোফুর বলে সাকিব উইকেটরক্ষক টাতেন্ডা টাইবুর তালুবন্দী ধরা পড়লে আবারও কমে যায় রানের তোলার গতি।
৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম কাউন্টি ক্রিকেট খেলা সাকিব। ৮৮ বলে সাতটি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। শেষপর্যন্ত মুশফিকুর রহিমের ২৭ ও রুবেল হোসেনের অপরাজিত ১৬ রানের কল্যাণে ২৮৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১১