ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

জিম্বাবুয়েকে টলানো গেলো না!

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১১
জিম্বাবুয়েকে টলানো গেলো না!

ঢাকা: সেই মধ্য দুপুর থেকে চোখে যন্ত্রণার ছায়া। প্রিয় দলের খেলোয়াড়দের পড়ে পড়ে মার খেতে দেখতে ভালো লাগছিলো না।

তবুও দেখতে হয় কাজের খাতিরে। দিন শেষে তো খেলার রিপোর্ট লিখতে হবে।

সন্ধ্যা রাতে যখন হারারে স্পোর্টস কাব গ্রাউন্ডে দিন খেলা শেষ, তখন মন বিষায়িত। অনেকগুলো প্রশ্ন মনের ভেতরে ভীড় করতে লাগে। কেন এমন হলো? বাংলাদেশ কি খেলা ভুলে গেছে?  অতি আত্মবিশ্বাস পতনের পথে নিয়ে যাচ্ছে না তো? পরক্ষণে মনে হয় টেস্ট তো পাঁচদিনের খেলা, ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। প্রথম দিন হয়নি, দ্বিতীয় দিন হবে। এক ঘণ্টাতেই অল-আউট করে দিতে পারে জিম্বাবুয়েকে। হলে তো ভালোই হয়।

প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়েছে ২৬৪ রান, দুই উইকেট। যে দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন তারাও দলকে একটা জায়গায় রেখে গিয়েছেন। টিনো মাওয়া ৪৩ এবং ভুসিমুসি সিবান্দা ৭৪। রুবেল হোসেনের শিকার এই দুই ব্যাটসম্যান।

প্রথম উইকেট ১০২ রানে এবং দ্বিতীয়টি ১৬২ রানে পতন হয়েছে। ছয় বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানরা যে ধৈর্য এবং দক্ষতা দেখালেন, তাদেরকে পেশাদার খেলোয়াড় না বলে উপায় আছে। মধ্যাহ্নবিরতির আগে এক উইকেট এবং চা পানের বিরতির আগে আরেক উইকেট। পড়ন্ত আলোতেও হ্যামিলটন মাসাকাজ্জা এবং ব্রেন্ডন টেলরের চোখে ধুলো দিতে পারেননি সাকিব আল হাসানরা।

একদিনের খেলা বিশ্লেষণ করলে রুবেল হোসেন ছাড়া বাংলাদেশ দলের কোন সদস্যকে মাঠে চোখে পড়েনি। ঠিক বলা হয়নি, চোখে পড়েছে ভুলগুলো। বলের লাইন-লেন্থ ভালো ছিলো না। ফিল্ডিং যাচ্ছে তাই। হাত ফসকে বল বেরিয়ে গেছে অনেক অনেক বার। ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন ফিল্ডাররা। যে স্পিন দিয়ে অনেক বড় দলকে কুপোকাত করেছে সাকিব বাহিনী তারাও জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের টলাতে পারেননি। আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান মিলে ৯৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য। রবিউল ইসলামের বলে পেস পায়নি। শফিউল ভালো বল করলেও উইকেট নেই। কিন্তু টেস্ট জিততে হলে তো এই বোলারদেরকেই ২০টি উইকেট নিতে হবে। অধিনায়ক সাকিব এবং কোচ স্টুয়ার্ট ল অনেক করে দলের সবাইকে এই কথাটা মনে করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু খেলার সময় ভুলে গেলে কি করা যাবে। যা হবার তা তো হবে।

সকল ব্যর্থতার যোগফল প্রথম দিনেই বাংলাদেশ ব্যাকফুটে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে উজ্জীবনী দাওয়াই পেয়েছে হ্যামিলটন মাসাকাজ্জার অপরাজিত ৮৮ এবং অধিনায়ক টেলরের অবিচ্ছিন্ন ৪০ রান যোগ হওয়াতে। এই দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুক্রবার সকালে ব্যাট করতে নামবেন বুক চিতিয়ে।

ওহ আসল কথাই তো বলা হয়নি, বাংলাদেশ নতুন কোচ যাদের স্কিল সম্পর্কে উচ্চধারণা পোষণ করতেন, তার মনের অবস্থা কি এখন? ৯০ ওভার খেলা দেখার পর মত পাল্টে ফেলেননি তো? টিভি ক্যামেরা যতবারই বাংলাদেশের ভিউইং এরিয়ার দিকে ঘুরিয়েছে চোখে পড়েছে ল’র বিরক্তি। পাশে নির্বাচক হাবিবুল বাশার বোধ হয় তাকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আসলে তিনি তো ছোট নন যে বাশারের কথা শুবোধ বালকের মতো মেনে নেবেন। প্রতিউত্তরও তো দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১১  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad