ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ঘুমাতে পারছিলেন না মিঠুন এমিলি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১১

ঢাকা: লেবাননের বিপক্ষে প্রাক বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির আগেই লজ্জাজনক কান্ড করেছিলেন দেশের দুই শীর্ষ স্টাইকার জাহিদ হোসেন এমিলি ও মিঠুন চৌধুরি। বৈরুতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগেই দিন কাউকে না জানিয়ে মানিকগঞ্জে খ্যাপ খেলে আসেন এই দুই স্ট্রাইকার।

দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে লেবাননের ছাড়পত্র দিয়েছিলো ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু প্রথম মুখোমুখিতে লেবাননের কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর  ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিলেন না মিঠুন ও এমিলি।

দলের প্রতি মিঠুন ও এমিলির কোনো কমিটমেন্ট নেই অভিযোগ ছিল বাফুফে কর্মকর্তাদের।   ফুটবলমোদীদের কাছেও রীতিমতো ‘ভিলেন’এ পরিণত হতে বসেছিলেন তার। বৃহস্পতিবার ঢাকায় হোম ম্যাচে লেবাননকে ২-০ গোলে হারানোর নায়ক ছিলেন ওই দুই স্ট্রাইকার। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সবার চোখই ছিলো মিঠুন ও এমিলির দিকে।

এমিলি লেবানন সফরের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন,“ দীর্ঘ ভ্রমনের পর বৈরুতে পৌছায়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর আমরা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর রুমে ঢুকতে পেরেছি। খেতেও সমস্যা হচ্ছিলো।   আমাদেরকে তেমন মূল্যায়ন করেনি কেউ। লেবাননের কাছে ৪-০ গোলে হারার পর ৪-৫দিন ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিলাম না। কিছু একটা করার জন্য প্রতিজ্ঞা ছিল। জয়ের চেষ্টায় ২০০ ভাগ উজাড় করে খেলেছি। ” অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,“ বৈরুতের ম্যাচটির ৩৯ মিনিটে আমি একটি গোল দিয়েছিলাম। বল গোললাইন অতিক্রম করলেও গোল দেননি রেফারী ও সহকারীরা। সেই গোলটি পেলে বড় ব্যবধানে হারতে হতো না আমাদের। ফলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো। ”

দলের পক্ষে আরেক গোল করা মিঠুন চৌধুরীও সুর মেলান এমিলির সঙ্গে। তিনি বলেন,“লেবাননে আমরা পাঁচ দিনের মধ্যে কেবল একদিন ঠিকমতো খেতে পেরেছিলাম। প্রথম ম্যাচে হারার পর দেশে ফিরে আমি ও এমিলি ভাই ঠিকমতো ঘুমোতে পারিনি। হতাশা কাজ করছিল। আজ সেই হতাশা নেই। যদিও ম্যাচ জিতেও আমরা তৃতীয় রাউন্ডে উঠতে পারিনি। ”

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ২৮ জুলাই, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।