ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ভরসা পাচ্ছেন না কোচ নিকোলা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১১
ভরসা পাচ্ছেন না কোচ নিকোলা

ঢাকা: লেবাননে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা প্রত্যাশার বেলুন ফুলিয়েছেন। বড় ব্যবাধানে হারের পর হুস ফিরেছে ফুটবলারদের।

দেশের মাঠেও লেবাননকে দেখছেন সমীহের চোখে। ফিরতি লেগের ম্যাচ নিয়ে আশার বাণী শোনাতে পারেননি কেউ। উল্টো হারের ব্যবচ্ছেদ চলছে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রাক বাছাইয়ের প্রথম ধাপ সফলভাবেই উতরে যাবার পর লেবাননের বিপক্ষেও ভাল করার আশা ছিল কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কির। কিন্তু বৈরুতে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফেরার পর ঢাকায় ফিরতি ম্যাচে ভাল কিছু করার সম্ভাবনা দেখছেন না এই মেসিডোনিয়ান কোচ। শিষ্যদের সামর্থ্য সম্পর্কে বুঝে গেছেন। তাই নিকোলার জন্য লেবানন জয় আর এভারেস্ট জয় একই কথা। তিনি বলেন,“লেবানন অনেক ভাল একটি দল। শারীরিক সক্ষমতা, কৌশল, পাসিং ও গতি সবদিক থেকেই আমরা পিছিয়ে। ফিরতি ম্যাচটি নিয়ে আগাম কিছু বলতে চাইনা। তবে আমাদের জন্য সেটি খুবই কঠিন একটি ম্যাচ। ”

প্রথম মুখোমুখিতে বড় হারের কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,“আমার দলের সবাই আনফিট খেলোয়াড়। মাঠে নামার পর সবাই চেঞ্জ চায়। লেবাননের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই আমার কাছে সাতজন খেলোয়াড় নিজেদের উঠিয়ে নেওয়ার আবেদন করে। ওয়ালি, নাসিররা ভালভাবে সামলাতে পারেনি। ওরা উঠে গিয়ে নিচে নেমে আসতে পারেনা। শাকিল ও জাহিদরা ঠিকমতো তাদের পজিশন ধরে খেলতে পারেনি। উপরে বা নিচে গিয়ে আগের অবস্থানে ফিরতে সমস্যা হয়। এমিলি খুব স্লো। দলে ভাল স্ট্রাইকার নেই। প্রতিটি বিভাগেই প্রতিপক্ষের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম আমরা। খেলোয়াড়রা ঠিকমতো নির্দেশনাও অনুসরণ করেনি। ”

বর্তমান দলে খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা নিয়েও চিন্তিত নিকোলা,“দলে কারো মধ্যেই ধারাবাহিকতা নেই। এক ম্যাচ ভাল তো পরের ম্যাচেই খারাপ। এছাড়া বর্তমান দলে খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৭ বছর। এদেরকে নতুন কিছু শেখানোরও নেই। আমি শুধু পারি ট্যাকটিক্যাল দিকগুলো নিয়ে কাজ করতে। ”
 
বিশ্বকাপের আগে ভাল প্রস্ততির অভাবও খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ। “লেবানন খেলোয়াড়রা প্রায় ৪৫ দিন যাবত একসঙ্গে রয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে ভালো সমন্বয় তৈরি হয়েছে। কয়েকটি বড় প্রস্ততি ম্যাচও খেলেছে। অন্যদিকে সুপার কাপের জন্য আমরা তো ঠিকমতো অনুশীলনই করতে পারিনি। ” বলেন নিকোলা।

খেলোয়াড়দের মধ্যে ঘাটতিগুলো কি এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ কোচ মুচকি হেসে বলেন,“লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচের দিন দুই দলের খেলোয়াড়দের ভালো করে লক্ষ্য করলেই আমাদের ঘাটতিগুলো খালি চোখেই দেখতে পাবেন। ”
 
লেবানন ভীতি আছে প্রথম ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সুজনেরও,“আমরা যেসব তথ্য নিয়ে ওদের মুখোমুখি হয়েছিলাম সেটা ভুল ছিল। তাদের ৪-৫ জন বিদেশে বিভিন্ন কাবে খেলেন। তারা সবদিক থেকেই আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তবে ফিরতি ম্যাচে জয়ের জন্যই মাঠে নামবো। জয় না পেলেও অন্তত একপয়েন্ট পেতে চাই। দেশকে আর লজ্জায় ফেলতে চাইনা। ”

অন্যদিকে লেবানন কোচ এমিলিও রুস্তম পরবর্তী ম্যাচে তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন,“বৈরুতের ম্যাচটিতে কি হয়েছে সেটা ভুলে যেতে চাই। নতুন ম্যাচে নতুন চ্যালেঞ্জ।   সতর্ক থেকে মাঠে নামবো আমরা। ”

দুই দেশের আবহাওয়ার কন্ডিশন একইরকম উল্লেখ করে তিনি জানান, বৈরুত ও ঢাকার মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। প্রতিপক্ষকে টেকটিক্যাল ও শৃঙ্খল উল্লেখ করে রুস্তম বলেন,“ফুটবলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। ”

তবে ০-৪ গোলে হারের পরও এমন মন্তব্য মানায় কিনা জানতে চাওয়া হলে লেবানন কোচ বলেন এটাই তো ফুটবল!

এদিকে ২৮ জুলাই ঢাকায় মুখোমুখি হওয়ার আগে লেবানন ও বাংলাদেশ উভয়েই মঙ্গলবার অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়। উভয় দলই বুয়েট মাঠে পালাক্রমে অনুশীলন করে। যদিও অনুশীলন মাঠের হতশ্রী দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুস্তম। বলেন,“এমন মাঠে ঠিকমতো অনুশীলন তো দূরের কথা, হাঁটতে গেলেও চোটে পড়ার ভয় রয়েছে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।