ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তাদের মধ্যে জেদ চেপে গেছে, যেকোন মূল্যে ভারতের অনুকরণে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। মুনাফা অর্জনই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়।
বিসিবির সহসভাপতি আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে চেয়ারম্যান করে বিপিএল কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যদিও সাজ্জাদুল আলম এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেননি। তবে কাজের পরিবেশ ভালো হলে অবশ্যই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সবকিছু যথাযথভাবে করা গেলে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে বিপিএল খেলার সময় বেছে নেওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বিপিএল কমিটি করে দেওয়া হলেই যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যাবে সে নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতের অনুমতি এবং সহযোগিতা ছাড়া কোন ভাবেই বিপিএল হবে না। কমিটির একজন কমকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন,“শ্রীলঙ্কাকে সহযোগিতার সর্বাত্মক আশ্বাস দিয়েছিলো ভারত। যখন প্রতিযোগিতা হবে হবে তখনই বেকে বসে। ভারতের ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলতে দেওয়া হবে না। আমাদেরকে ওই বিষয়টি মাথায় রেখে ভারতের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনা চালাতে হবে। যাতে ভারতের সুপার স্টারদের খেলতে না দিলেও স্টারদের খেলতে দেওয়া হয়। ভারতের খেলোয়াড়রা না খেললে তো প্রতিযোগিতায় স্পন্সর পাওয়া যাবে না। টিভিতে খেলা সম্প্রচার করা সম্ভব হবে না। যে করেই হোক আগে ভারতকে রাজি করাতে হবে। প্রয়োজনে তাদের লজিস্টিক সহযোগিতা নিয়ে খেলা চালাতে হবে। তা না হলে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হবে। ”
বিসিবির উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আশাবাদি, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় সফল হবে বাংলাদেশ। “ভারত যে ভাবে বলবে সে ভাবে বিপিএল হবে। খেলা হতেই হবে। তবে আইপিএল সমমানের করা সম্ভব নয়। ভারতের বাজার অনেক বড়। তাদের দেশে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন যারা অর্থের যোগান দিতে সমর্থ। আইপিএল এ যারা দল পাওয়ার চেষ্টা করে পায়নি। তাদেরকে বিপিএল এ অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করা যেতে পারে। ভারতের সহযোগিতা নিয়ে তা করতে হবে। ”
বিপিএল কমিটির একজন কর্মকর্তা বলেন, বড় পরিসরে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব না হলেও সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমরা একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। প্রয়োজনে একই ভাবে নতুন করে যাত্রা শুরু করবে টি-টোয়েন্টি লিগ। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১১