ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আষাঢ়ে যুদ্ধ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১১
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আষাঢ়ে যুদ্ধ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে

ঢাকা: আষাঢ়ের ভেজা মাঠে ফুটবল ছন্দ কতটা দেখা যাবে বলা যাচ্ছে না। প্রবল বর্ষণ হলে খেলাটি ভেস্তেও যেতে পারে।

ওসব অলক্ষুণে কথা থাক। বাংলাদেশ ফুটবল দল দেশের মাঠে পাকিস্তানকে কাদাজলে নাকানিচুবানি দেবে তা তো আশা কারা যায়।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে ম্যাচটি হবে তা ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের প্রাক বাছাই ম্যাচ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে এগিয়ে থাকতে জয়ের বিকল্প ভাবছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য। একই ভাবনা পাকিস্তান কোচ তারিক লুৎফিরও।

সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে পাকিস্তান কোচ তারিক লুৎফি তার দল ও প্রস্ততি সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেন,“দলের বেশ কিছু নতুন মুখ আছে। নতুন ও পুরাতনদের নিয়ে এবারের দলটি বেশ ভাল হয়েছে। প্রস্ততিও মন্দ নয়। এখানে আসার আগে দেশ ও দেশের বাইরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে দল। যদিও প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে যথেষ্ট সম্মান করি। কিন্তু জয়ের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। ”

বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুম নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন লুৎফি। বলেন,“যদিও এখানকার পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত। তবে বৃষ্টি কারণে মাঠ ভেজা থাকলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলাটা কঠিনই হয়ে যাবে। ম্যাচের দিন বৃষ্টি আশা করছি না। কারণ বাংলাদেশ ভেজা মাঠে খেলে অভ্যস্ত হলেও পাকিস্তান খেলোয়াড়রা একেবারেই অনভ্যস্ত। ”

কোচের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন পাক অধিনায়ক জাফর খান জানান, ‘এ ম্যাচটির জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করে করেছি। সেরা দলটিই পেয়েছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে চাই। ”

অন্যদিকে বাংলাদেশ প্র্যাক বাছাই উপলক্ষ্যে তেমন প্রস্ততি নিতে পারেনি। দল গুছানোর জন্য মাত্র দু’দিন সময় হাতে পেয়েছে। যদিও সেটাকে কোনো সমস্যা মনে করছেন না অধিনায়ক বিপ্লব,“ আমরা মিয়ানমার ও চীনে সঙ্গে খেলে এসেছি। প্রত্যেকের বোঝাপড়াটা ভাল। এছাড়া লিগেও খেলার মধ্যে ছিলাম। তাই প্রস্ততিতে অল্প সময় পেলেও সেটা সমস্যা হবে না। সেরাটা খেলতে পারলেই পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব। ”

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের রেকর্ডও হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্বাধীনতার পর উভয় দল মোট ১২বার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে। প্রত্যেকেই পাঁচটি করে জয় ও দুটি ম্যাচে ড্র করেছে। একটি বিষয় বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করতে পারে। ঢাকার মাটিতে বাংলাদেশকে কখনও হারাতে পারিনি পাকিস্তান। ঢাকার মাটিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের লড়াই হয়েছে
মোট তিনবার। ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম মোকাবেলায় ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচ দুটি গোল শূন্য ড্র হয়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য এরই মধ্যে ছক কষে ফেলেছেণ মেসিডোনিয়ান কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি।   ৪-৪-২ অথবা ৪-২-৩-১ পদ্ধতিতে স্বাগতিক ফুটবলারদের মাঠে নামাবেন মেসিডোনিয়ান। যদিও  ৪-২-৩-১ আক্রমণাত্মক পদ্ধতিটাই তার পছন্দের। ৪-৪-২ পদ্ধতিতে রক্ষণভাগ আগলাতে তিনি মাঠে রাখবেন নাসির, আরিফ, রেজাউল এবং মিশুকে। মধ্যমাঠে থাকবেন রাজু, মামুনুল, জাহিদ ও শাকিল। আক্রমণে থাকবেন দেশ সেরা স্ট্রাইকার এমিলি ও মিথুন চৌধুরী। ৪-২-৩-১ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে মধ্যমাঠ এবং আক্রমণভাগে। মধ্যমাঠে থাকবেন মামুনুল আর মারুফ। আক্রমণে যাবেন রাজু, জাহিদ ও শাকিল। এদের সবার থেকে একটু এগিয়ে থাকবেন মিঠুন অথবা এমিলি।

এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে মঙ্গলবার দলের অনুশীলন পরিদর্শন করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি বলেন,“প্র্যাক বাছাইয়ে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আশা করছি ছেলেরা পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে নেবে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।