ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

খেলা

খুশি মনেই বাংলাদেশে আসছেন স্টুয়ার্ট ল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১১
খুশি মনেই বাংলাদেশে আসছেন স্টুয়ার্ট ল

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্টুয়ার্ট ল’কে জাতীয় দলের প্রধান কোচ ঘোষণা করার পরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চাউর হয়ে যায়। অনেক দেশের সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সনে দ্রুত খবর দেওয়া হয়।

ইংল্যান্ডেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হয় শ্রীলঙ্কান অন্তর্বর্তীকালীন কোচকে।

সেখানে বাংলাদেশের কোচ হওয়ার বিষয়ে কিছু কথা তো বলতেই হয়েছে ৪২ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ানকে। বাংলাদেশে তার নতুন চাকরিকে তুলনা করেছেন চ্যালেঞ্জিং হিসেবে। একদল তরুণ এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিতও হয়েছেন। তিনি বলেন,“বিসিবি যে সুযোগ করে দিয়েছে এবং তাদের উপস্থাপনের ধরণ দেখে আমি খুবই উজ্জীবিত। আমার জন্য এটা খুবই সম্মানের। ”

অবশ্য বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে ছেড়ে আসার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া অতটা সহজ ছিলো না বলে জানান তিনি। “তাদের (শ্রীলঙ্কা) সঙ্গে আমার দারুণ আনন্দদায়ক সময় কেটেছে। আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সেখানে আমার অনেক বন্ধু হয়েছে এবং দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা আছে। ”

বাংলাদেশে স্টুয়ার্ট ল’র জন্য ঊষ্ণ অভিনন্দন অপেক্ষা করছে এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অনেক কোচের মধ্যথেকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। যাদের বৃত্তান্ত দেখে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট দলের সদস্যকেই যোগ্য মনে হয়েছে বিসিবির কাছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ল‘কে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবি মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন,“আমরা চেয়েছি এমন একজন কোচ, যার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা গুণ আছে। খেলোয়াড়ী জীবনে ভালো অতীত সম্পন্ন এবং কোচিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ল উঁচু মানের, সেজন্য তাকে নেওয়া। ”

এত প্রশংসা শোনার পর বাংলাদেশে ল’র দায়িত্ব কয়েকগুণ বেড়ে গেলো বটে। সেকথা তিনি ভালো করেই বোঝেন। “ঢাকায় আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তার জন্য আমি প্রস্তুত। জাতীয় দলের কোচ হওয়া যে কোন কোচের স্বপ্ন। একদল প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে বাংলাদেশকে অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই। ”

জাতীয় দলের এই কোচ অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নিলেও থাকেন ইংল্যান্ডে। একেবারে পেশাদার যাকে বলে তিনি তাই। জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার সময় বাংলাদেশের স্থানীয় কোচকে সহকারী হিসেবে নিতে আপত্তি করেননি তিনি। কোচিং স্টাফ নিয়েও খুঁত খুতানি নেই। বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচের জন্য পরিচিত কয়েকজনের নাম দিয়েছেন বিসিবিতে। সেখান থেকে যে সবাইকে বেছে নিতে হবে তা নয় বলে জানান জালাল ইউনুস। “সহকারী, বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচ মোটামুটি ঠিক হয়ে আছে। জিম্বাবুয়ে সফরে তাদেরকে না পেলেও এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে নিয়োগ হয়ে যাবে। ”

সে যাই হোক স্টুয়ার্ট ল একজন উঁচু মানের কোচ। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটি টেস্ট ও ৫৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ডানহাতি এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান কুইন্সল্যান্ডের হয়ে চারবার শেফিল্ড শিল্ড শিরোপা এবং দুটি ওয়ানডে শিরোপা জেতায় সবচেয়ে সফল অধিনায়কের খ্যাতি কুড়িয়েছেন।

ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং ডার্বিশায়ারে খেলেছেন। ল সবধরণের ক্রিকেটে ৪০ হাজার রান এবং একশত শতকের শতক হাঁকিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার অভিষেক হয় ১৯৯৪/৯৫ মৌসুমে। একমাত্র টেস্ট খেলেছেন স্টিভ ওয়াহর বিকল্প হিসেবে।
উইজডেন ক্রিকেটার্স অব দ্য ইয়ার হয়েছেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেডেল অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন ২০০৯ সালে। বিশ্বকাপের পরে লঙ্কান প্রধান কোচ টেভর বেলিস পদত্যাগ করায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় লকে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।