ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ম্যাচ পাতানোর কথা অস্বীকার কালার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১১
ম্যাচ পাতানোর কথা অস্বীকার কালার

ঢাকা: ম্যাচ পাতানো নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোচ মারুফুল হকের দাবিকে অস্বীকার করেছেন রহমতগঞ্জের ফুটবল সম্পাদক সালাউদ্দিন কালা। সোমবার বাংলাদেশ লিগ কমিটির সঙ্গে মুখোমুখিতে মারুফের অভিযোগকে জোরালোভাবেই উড়িয়ে দেন তিনি।

গত শনিবার মুক্তিযোদ্ধা কোচ দাবি করেছিলেন শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জের মধ্যকার খেলা চলাকালীন সালাউদ্দিন কালা তাকে ভুলবশত ফোন দিয়ে পাতানো ম্যাচের ইঙ্গিত দেন। মারুফের দাবি কালা তাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন “বিদেশি ডিফেন্ডার মাইকেল দুম্বা ডিস্টার্ব করছে। তাকে আমরা তুলে নিচ্ছি এখন যত পারেন গোল দেন। ” যখন মারুফ রহমতগঞ্জের ফুটবল সম্পাদক নিজের পরিচয় দেন তখন কালা সর্বনাশ হইছে কাকে ফোন দিছি বলে লাইন কেটে দেন।

মারুফের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ১১ জুন শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জের ম্যাচের তদন্তে নতুন গতির সঞ্চার হয়। লিগ কমিটি উভয়কেই সোমবার বিকেলে বাফুফে ভবনে তলব করেন।

প্রথমে আলাদা আলাদা ও পরে দু’জনকেই মুখোমুখি করে কথা বলেন বাফুফের লিগ কমিটি। লিগ কমিটির সভাপতি বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সভাপতিত্বে কমিটি সদস্যরা উভয় কোচকে দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেন।

পরে বৈঠক থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখিতে মুক্তিযোদ্ধা কোচ মারুফ বলেন,“ পাতানো ম্যাচ নিয়ে পরপর তিনবার আমার দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের দুবার মোহামেডান ও এবার মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করতে গিয়ে একই অভিজ্ঞতা হলো। ”

লিগ কমিটির সঙ্গে মুখোমুখিতে কালার সঙ্গে তার ভাষ্যের কোথায় অমিল হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,“বিদেশি খেলোয়াড় উঠিয়ে নিয়েছি এখন যত পারেন গোল দেন” এই বক্তব্য অস্বীকার করেছেন।

আগে কেন পাতানো ম্যাচের প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি এ বিষয়ে তিনি বলেন,“আমার দল শিরোপা প্রতিযোগিতায় ছিল। মুখ খুললে আমার দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো। এজন্য লিগ চলাকালীন মুখ খুলিনি। ”

অন্যদিকে সালাউদ্দিন কালা ১১ জুনের শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জের ম্যাচের দিনে মারুফকে ফোন দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন,“আমি আমার দলের সম্পাদক টিপু সুলতানকে ফোন দিতে গিয়ে মারুফকে ভুলে ফোন দিই। বলি দুম্বা চোট পেয়েছে। এজন্য তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেই। ”

উল্টো মারুফকে ম্যাচ পাতানো চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করে কালা বলেন,“শেখ জামালের বিপক্ষে আমরা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর মারুফ আমাকে ফোন দিয়ে প্রাধান্য ধরে রাখতে বলেন। আমাকে বলেন আমার পকেটে সাড়ে তিন লাখ টাকা আছে। ম্যাচ জিততে পারলে এটা আপনার। ”

এদিকে দুই ক্লাব কোচকে জিজ্ঞাসাবাদের পর লিগ ও তদন্ত কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদী বলেন,“উভয়ের সঙ্গে আলাদা কথা হয়েছে। পরে মুখোমুখি বসিয়েছি। তারা আলাদা ভাষ্য দিলেও বেশ কিছু তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। যদিও আমরা তদন্তের কাজ গুছিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু  তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর রিপোর্টে আরো কিছু বিষয় যোগ হতে পারে। আমাদের কিছু সুপারিশসহ এ বিষয়ে শিগরির সভাপতির কাছে রিপোর্ট দেব। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যেই তদন্তের ফলাফল দেওয়া যাবে। ”

পাতানো ম্যাচের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সালাম মুর্শেদী বলেন,“তদন্ত কমিটি হিসেবে আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তথ্য প্রমাণ ছাড়া কাউকে দায়ী করা যায় না। এছাড়া তদন্তকালীন এ বিষয়ে কিছু বলাও ঠিক নয়। ”

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।